08 October 2016

মুনিরা চৌধুরী


 
মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা 
মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা 


__১__
কোনো এক সন্ধ্যায় বাবাকে নিয়ে সাগর পাড়ে বসেছিলাম
বাবা,চশমাটা খুল তো
তোমার চশমায় কয়েকটা কুয়াশার পাখি আটকা পড়েছে
পাখিগুলো মুক্ত করে দাও,পাখিগুলো ডানাহীন, অনেকটা আমার মতো...
প্রিয় কবিতাটা পাঠ করো সমুদ্রের নামে
কতোদিন হয় তোমার কণ্ঠ হতে উড়ে যায় না রঙের গজল...

বাবা চুপ হয়ে বসে আছে...

বললাম
ঢেউয়ের ভয়ে সকল সাম্পান জলরাশি পাড়ি দিতে পারে না
বাবা আমি কি তোমায় পাড়ি দিচ্ছি!

ছোট ছোট বাবুই পাখিরা মুখে দানা নিয়ে
উড়তে উড়তে বার বার দানাগুলো ফেলে দেয়
কেউ কি আমায় এরকম ফেলে দিয়েছে বাবা
আমি পা-ভাঙ্গা মানুষ, দৌড়াতে নেমেছি...

বাবা বললো-
এইবার চলো মেহেকানন্দার তীরে যাই, নিমাই সন্ন্যাসীর গ্রামে
আমি পাখির শরীরে কুয়াশার ডানা জুড়ে দিয়েছি। 



মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা 
মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা মুনিরাকথা 
 



__২__
ঘুমের ভেতরে গত জনমের কষ্টেরা ধীরে ধীরে পুড়ছিলো
ঘুম ভেঙ্গে দেখি আগামী জনমের সুখগুলো পিপাসার্ত ভীষণ

হায়!
বৃষ্টির জলে তৃষ্ণা মেটে না, সমুদ্রের নোনা জলেও না

দ্বিপদী ঘোড়ায় চড়ে আরো দূর যেতে যেতে
নিমাই সন্ন্যাসীর গ্রামে যাই
মন্দিরের চূড়ায় অন্ধকার ঘন হয়ে এলে বিষ পান করি 
চাতকিনীর মতো আমিও তৃষ্ণা নিবারণ করি।
___________________________

No comments:

Post a Comment