08 October 2016

মির্জা মোনালিসা




এইসব মৃত্যু বিভাব
__১__
নিদ্রিত রজনী এখন নগরে নগরে
স্নান শেষে দূরে দূরে দাঁড়িয়ে পড়েছে নক্ষত্র; এলোমেলো পথের রেখা। এমন নিস্তব্ধ পৃথিবী! জলের শব্দ ছাড়া আর কোনো অনুষঙ্গ নেইতোমাদের ধূমায়িত কফির গাঢ়ত্ব আর অলৌকিক সদাচার, আড়ালে রাখে কন্ঠস্বরের দ্রবীভূত নৈঃসঙ্গের বৈভব। দ্যাখো,পাতা-ঝরা বৃক্ষের গুঁড়িতে এখনো লেগে আছে একখণ্ড দার্শনিক বিভাস। ভুলে যাইআমি ভুলে যেতে থাকিঅন্ধকার সাঁতরে সাঁতরে মৎস্যেরা উজানমুখী নিগূঢ়-ভ্রমণে
হায় 
অলৌকিক জাগৃতি!
তুষার-ঝড়ে বীর্যবান মানুষের দাগ লেগে থাকে...


 


__২__
ধারালো পাতের নিচে পেতে দিয়েছি শরীর
লিখে রেখেছি ঢেউয়ের মাথায় রক্তাক্ত জবানবন্দী আমার
মিয়া কুলপা!
আমি অপরাধী!
তবু ওই পথেই যেতে হবে আমায়!

আমার শিথানের পাশে তীরবিদ্ধ বালিহাঁস
গড়িয়ে পড়ে ঈগলের ডানা ও কান্না
শীর্ণ শিখার মতো কম্পন এই পরান-প্রদীপে

অতঃপর প্রার্থনা পড়ি
নগরীর বাস্তুবিজ্ঞান আর নক্ষত্রের স্তম্ভমালা যেন ভেঙে না যায় ধূসর চোখের ভেতর অজস্র ট্যানেলের ফাটলফেটে যাওয়া ডালিমের দাগ দেখে নির্লিপ্ত অক্ষিগোলক। অথচ তুমি জানো, জমাট অন্ধকার আর পুষ্পের বাগান পরস্পর ধাবমান চিরদিন।

No comments:

Post a Comment