এভাবেও হয়ে থাকে
কানের লতিতে লাল ডেঁয়ের
কামড়ের শূলে
নার্সিং হোমে এসে বলেছি,
বিধাতা আমাকে পাঠিয়েছে
তোমার কাছে।
অথচ, তোমার সাথে কখনো কথা
হয়নি
রাস্তায় হেঁটে যেতে হয়তো
দেখেছি
তোমার চলে যাওয়া পরস্পরের
বিপরীত দিকে
আর ফিরে তাকিয়েছি একই সময়ে।
চন্দ্রাহত
আমি যাবোনা তো
শক্ত পোক্ত মাটির আন্ধারে
তা কি হয়?
উচ্ছাসের বেনোজল জলোচ্ছ্বাসে
চিবুক ধরে টানে!
হেঁচকিয়ে রক্তচোখে ভয় দেখায়
চরুটের ধোঁয়ার মাতাল ঘূর্ণি
ভেলকি মারে
দূরপাল্লার জাহাজে,
ইছামতী পাড়ে
চৌকষী জমির আইলে
তবু চোখ যোজনে—যোজনে
রক্তজবার শাখে
বলে সর্পিণী—পরকীয়া মোহে
ভালোবাসে আজো সুযোগ পেলে!
মধ্যরাতের
স্কেচ
রাত ঘোমটা সরালে
নয়া বউয়ের মতো
লাজ—শরমেন্দায়
ফুলের সুগন্ধি বেরুচ্ছে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে
এদিক ওদিক
বেগানা হৃদয় পিছু পিছু হাঁটছে
বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে
পানার বিলে মাছ নড়ে উঠলো
আজ সকালে
সূর্যস্নাত সকালটা বোকাসোকা
পাতিহাঁস ডেকে উঠলো
পিঁত পিঁত
পুকুরের জল ঢেউয়ে ঢেউয়ে
প্রেয়সীর পায়ের দোল
আমি স্কুলগামী—
বালিকা বিদ্যালয় মনে হয়
ভিমরুলের বাসা
দুষ্টুখিদে চাহনিতে কুশ্বেলের
খেত—
চুলের বেণী ঘাসফুলে বাঁধা
কুঁ ঝিঁক ঝিঁক ফড়িং দলের
ট্রেন চলে
জং- ধরা ইষ্টিশনে...
শীতের মানচিত্র
ঠোঁটঅলা শীতের কামড়ে
বেলুন চুপসে গেছে দিলদারের—
আঁকাআঁকির ব্রা থেকে পালিয়ে
গেছে
কুয়াশাঘেরা মাটির ঢিবি দুটি,
জাঁলার বিঁছানায় মাটির পাতিলে
রাতভর গড়ে তোলা কাকতাড়ুয়া...
সিনা টান করে দাঁড়ালে
নদীর যোনী দেখা যায়
ভুল করে পথিক দাঁড়ায়
খুলে দেখে,কী আছে আর কী নাই!
No comments:
Post a Comment