এক কবির প্রত্যাবর্তন
এক কবি তার অমর কবিতা শোনাতে রেসকোর্সে ডেকেছিল
সে-কি জনতার ঢল, বানের পানিকে মানিয়েছিল হার
সবাই নীবর থেকেছে, শুনেছে তার ভালোবাসার কথা, মুক্তির কথা
মানুষের মুক্তির নিশানা উড়িয়ে সেই বজ্রকণ্ঠের হুঙ্কার-
এবারের সংগ্রাম-আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম
ভীত কাপুরুষরা সেই সিংহমানব কবিকে খাঁচায় পুরে রাখতে চেয়েছে
পারেনি; কবিতার কবিকে, রাজনীতির কবিকে ধরে রাখা যায় না-
বাংলার নদী-নালা, খাল-বিল, পাখ-পাখালি, বৃক্ষরাজি প্রতিবাদে গর্জে
উঠেছে
বাংলার অসীম সাহসী নারী-পুরুষ যুদ্ধ জয়ে তাকে ছিনিয়ে এনেছে
তিনিই আমাদের পিতা; জাতির পিতা, বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ
সন্তান
তিনি কবিতার পঙক্তি হয়ে ফুলেল সম্ভাষণে ফিরে এলেন তাঁর প্রিয়
বাংলায়
সেই প্রথম স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পাওয়া, জাতির পিতাকে ফিরে পাওয়া-
হংসমিথুন
তোমার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে পান করেছি সুধা
এই জনমে প্রেম সাগরে ছবক নেওয়া বৃথা
জারুল কিংবা হিজল বনে নাই বা হলো দেখা
আমরা দু’জন পরজনমে হংসমিথুন সখা।
মন পবনের ঢেউ
পাগল পাগল পাগল সবাই
পাগল কবির মন
পাগল নয়তো কবি বন্ধু
ভেতর মন পবন।
তিরিশ বছর
[ আঞ্জুমান কামাল প্রিয়তমেষু ]
এক নদীতে সাঁতার কাটি
এক নদীতে ভাসি
এক নদীতে কাটবে জনম
সুখী মুখের হাসি।
দেখতে দেখতে কাটলো সময়
বুঝতে পেলাম নাকো
ভালোবাসার সুতোয় গাঁথা
প্রেমের মালায় থাকো।
তিরিশ বছর এই জনমে
হয়তো কিছুই নয়
সুখে দুখে সাথী হয়ে
প্রেমের জোয়ার বয়।
আমরা দুজন এই জনমে
সখাসখী হলাম
আগ জনমে হয়তো মোরা
হংস মিথুন ছিলাম।
মায়ার বন্ধন
এই ভূগোলের মায়াময় ধরণী তাকে বুকে তুলে নেয়
রোদ-ঝড়-বৃষ্টি তাকে ছুঁয়ে যায় ভালোবাসার আবেগে
প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম মেনে সেও প্রকৃত যোদ্ধা হয়
এই ভূগোলে তাকেও একদিন মায়ের ভূমিকা নিতে হয়।
চোখের জল শ্রাবণের ধারায়
কিছু চোখের জল এবার
বরষায় ধুয়ে গেছে
বরষারও কিছু চোখের জলের
চাহিদা থাকে
তাই সে এভাবেই শ্রাবণের
ধারায়
মিশে একাকার হয়।