কবর
এ শহরে কাকও
ওড়ে না — একা একা;
আর দিব্যি আমাকে
ডুবে রেখেছ তুমি
ভাত চেটে খাওয়া
কুকুরের ওমে —
পলিথিনের ঘুড়ি
ওড়ানো টোকাই
বুকের হাড় নিয়ে
পালিয়ে গেছে সেই কবে —
তোমাকে বলা হয়নি
—এ শহরে রাত নেই; অন্ধকার ।
হিজরাদের সমতল
বুকে চোখে পড়েনা;
ওদের বাকা পায়ের
হাটা শেষ হলে
করতল ফেটে রক্ত
স্রোত নামে —
শহর ঘুমায় নিভৃতে;
নিশ্চিন্তে ।
আমাকে মৃত ঘোষণা
করে তুমিও
আঙ্গুল বাঁকিয়ে
রাখো অনাবৃত সুখে...
ফেস্টুন
এ পাড়ায় ঘুম নেই — সদর দরজায় তালা;
সোনাই ঘটক পান চুরি করে সূর্য খায়;
দরজার ওপাশে আলগা হাওয়ার মূক —
কেউ রটিয়ে দিল- মানুষেরা গল্প শূণ্য ।
আকাশটুকু’ই দখল করা বাকি- অন্তর্জাল
এক সমীহ ব্যপার; নগদ কিছু পা ফেলা
নিয়ে’ই দ্বন্দ্ব রাখাল থেকে মোহ’র বেদুঈন;
সোনাই ঘটক অকস্মাৎ ঢুকে গেছে কুকুরের ভেতর ।
মেঠোপথ
বুকের উপর ঘুঘু
পাখির ঘুম;
শুদ্ধ সকাল চোখে
মাখে চুম —
শুকনো পাতার
বর্ণবিহীন ঘর
সন্ধ্যে খেয়েই
নিচ্ছে অবসর ।
ধুলোর ছায়া ডাকে
আলোর পুতুল;
বর্শি বেয়ে দ্বিধায়
খেলে তুমুল
আকাশ পিঠে দৌড়ে
পালায় কাঁক —
মৌমাছিরা জ্বালিয়ে
মৌচাক
বৃষ্টি ভিজে
কুড়ায় মেঘের ফুল ।
নষ্ট বিষয়ক
ঘর জোড়া অসভ্য ছায়াদের সহবাস —
এক দুপুর কলঙ্ক শরীরে মেখে
পোকাদের নিপাত করে তোলো;
তুমি—নোংরা হবে আর কতবার?
পালকীরাও কথা বলে রাখে — নজর ফেলেছ
গড়াগড়ির জলজপাত্রে; এই নষ্টামি ভুলে যাও মেয়ে...
তোমাকেও যেতে হবে রাতের ঘরে —
রাতও নারীর মত নষ্ট হতে জানে!
সারাবেলার খেলা
আর সকাল এলো
না; দুপুর সব পুড়ে ছাই —
না, না, বিকেল
হলো না অভিমানে।
তোমাকে নিয়ে
উড়ে গেছে পাখিরা;
নর্তকী হাতে
মন আমার পাখি হতে চায়।
চোখ খোলা রেখেই
ফুরিয়ে গেল বৃষ্টিকাল —
দাবা খেলা এক
সন্ধ্যা নিয়ে হাজির তুমি;
কাঠপোকা খেল
এই বাহুডোর —
না জানিয়ে তোমাকে— পকেটে তুলে চাঁদের পাপ
দৌড়ে পালাই পাহাড়ের
পেটে;
ছিড়ে খাও পাঁজর,
তারপর— প্রার্থনারত তুমি মজো রাতের প্রেমে ।