01 January 2016

রিক্তা চক্রবর্তী





স্বীকারোক্তি
রক্তক্লান্ত এ উদ্ধত সভ্যতায় অনন্তকাল মরা আর বাঁচা প্রতিবার পূজোয় বাড়ী ফেরার সময় জীবনের প্রতি এক অমোঘ টান অনুভব করি
সাময়িক অনভ্যস্ততায় অবচেতন জুড়ে নাগরিক সভ্যতার সাইড এফেক্ট খেলা করে
রক্ত আর গ্রেনেড কে সঙ্গী করে লিখতে বসি,
আরও এক অবচেতনে মোড়া কবিতা


ঘুম

জ্বলন্ত এই বাস্তব থেকে রেহাই চাই জানো কি, ঘুমটা কোথায় পাওয়া যায়? রাতের পর এই নিদ্রাহীন রাত ঘুমের ঠিকানাটা জানা আছে কি কারোর? পালাতে চাইছি নির্ঘুমের এই কারাগার থেকে আচ্ছা, ঘুমটা এখনও আসে না কেন? আমাকে যে ছিঁড়ে ফেলবে দয়াহীন জাগরণ তোমরা কেউ তো ঘুমকে বলো, আমায় নিয়ে যেতে পেঁজা তুলোর মত সাদা নরম বিছানায় মেঘ মেঘ শান্ত ভেজা ঘুম, কিছু আরামপ্রিয় স্বপ্ন স্বপ্নের রঙটা যেন হয় উজ্জ্বল সবুজ কালোটা আমি আকাশেই রেখে যেতে চাই প্রেম নয়,নাম হয়,যশ নয়, আজ শুধু ঘুম চাই কুয়াশামাখা আচ্ছন্নতায় সে ঠোঁট ছোঁয়াক কপালে তার সাথে গল্প করতেই আমি চলে যেতে চাই নিশ্চিন্তিনগরে, দুঃস্বপ্নরা কারাগারে বন্দী যেখানে ছোট্টবেলার ঘুমপরীর হাত পৌঁছায় না আর কপালে ঘুমপাড়ানি গানগুলো আজ সুরতাল সব ভুলেছে নিদ্রাও আজ ভুলেছে আমায়, একলা এই ধূসর পথে বিশ্রামের একটু ঘুম চাই, কেউ যদি এনে দিতে পারে রূপকথার সেই মরণকাঠির ছোঁয়াটা কোথায় পাবো, বলতে পারো? আজকে তুমি যদি না আসো কষ্ট গুনতে পাগল আমি পথে নেমে চিকার করব ঘুম, বলোতো অনন্ত এত অল্প কেন?

No comments:

Post a Comment