01 January 2016

তানভীর আহমেদ হৃদয়



একদিন ঘুম ভেঙে দেখি
একদিন ঘুম ভেঙে দেখি সব শূণ্য-নিরাকার
বিছানার পাশে শুধু শূন্য অ্যাশট্রেটা নিথর পড়ে
আছে, ঘাসফড়িঙের পাখনায় লেখা ছিল যে
সংকট সংসারের যাবতীয় খসড়া, ।এখন একটাও
পাখা নেই আর। পায়া ভাঙা খাটের নিচে ঘুমাতেন
যে আলেকজান্দ্রার দ্যুমা, তার ময়লা ছেঁড়া পকেট,
জুতোর ভেতর ছিল আমার জীবনের যাবতীয়
সঞ্চয়, কিছুই নেই আজ কিছুই নেই। আমি ছাড়া
পৃথিবীতে আর কোন প্রাণী নেই,
কলমিলতার সবুজাভ ডগায় ছিল যে পুষ্পের বিন্যাস
রোজ রাতে বর্ষার জল এসে স্নান করে দিয়ে যেত
তাকে, পৃথিবীর আদিম মানুষেরা চূড়ায় উঠতে উঠতে
একদিন মেঘের পালক হয়ে গেছে...


মানুষের ভাষা
যারা করেছিল ভোরের আয়োজন, তাদের
অদৃশ্য হাত উড়ে গেল পঙ্খিরাজ ঘোড়ার মত

আজ থেকে আকাশের আর কোন প্রাচীর থাকবে না
থাকবে না আকাঙ্খার ধূলিমাখা স্বর্বৈভ পাঁজরের দাগ
যারা দুঃসহ স্মৃতি বহন করেছিল যুগ যুগ ধরে
তাদের আস্তিনে ঝুলে আছে অমাবস্যার চাঁদ

মানুষ বেড়ে ওঠে মানুষের আপন আপন নিয়মে

পৃথিবী শুধু তার নিজস্ব ভাষাগুলো শিখিয়ে নেয়
পরস্পরকে-



চা
কিছুদূর হেঁটে গেলেই ক্যাপলার বন
তারপর ডানে বিশাল অট্টালিকা
তার ভেতর ছোট ছোট জানালা
সবগুলো জানালায় আমার চতুর চোখের উপস্থিতি
কোথাও তুমি নেই, নেই, কোথাও নেই।

চা দোকানের মালিকরা ইদানিং বড্ড ক্যাচকেচে!
যা-তা বিচ্ছিরি ভাষা ব্যবহার করে

এক কাপ চায়ের বিনিময়ে মন্দ গালাগাল

মাঝে মাঝে খারাপ লাগে না!

No comments:

Post a Comment