বিরল সারথী
অন্তহীন ঘোর হতে আনি তুলে হিরণ্যদেহ
স্থূল অন্তরে, মনে হয় কুমুদবান্ধব-
আরোপিত মুখ
সংশ্রব- অনঙ্গ ফেনারাশি, অপূর্ণ
ওঁকারে ধীরে ধীরে
লীন করি ধূপিত জগৎ
নরকের ভৃত্য কে জানে কখন এসে কারে
করেছে দান- অপাত্রে, অকৃত্রিম
রাশি যার বৃষ
ক্ষয়িঞ্চু স্পর্শ পাশে কাটে রক্তবর্ণ
দিন
সবিশেষ ঘূর্ণিকায় ক্রমশ ধৃতিহারা
ক্রোধ
তবুও তরানোর মোহ- হরিৎ স্বস্তি বন
নিজেরই প্রোথিত ক্ষীণ অনলের তরু,
হাওয়া গান
ধাবমান পরভৃতে ছুঁড়ে পুরুষ বাণ
এই পর্যায়ে ধরাশায়ী নিজের ব্রহ্মা
প্রাণ
সর্বক্ষণ ভীতু থাকে চন্দ্রাতপ
পিপীলিকায়।
ঘুম ও ঘাতক
১.
তমশার কাছে গিয়ে ধরা দাও
অনন্ত পাথারে— বালিঘড়ি মেপে
নেমে পড়ো শ্মশানের কাছাকাছি
কোথাও ডালিম বনে, তমোহরে—
যেনো গালিবের সুরাঘন ঘুমে
হেসে ওঠে ছায়া, চাঁদ সদাগর।
উলঙ্গ রাম-দা হাতে তাড়া করে
সেকি যমদূত, নাকি পূর্ব জনম?
তার কাছ থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরো
এই পলায়ন দৃশ্য স্থির চিত্র
না-পেরোয় একচুল, তবুও দৌঁড়
বেগহীন সুপ্রাচীন পা যুগল
বোবা ও বধির— রক্ষাকর্তাহীন
আর কপালের ঘাম, রাশি রাশি
সাদা সাদা তুলো— ধেয়ে আসে ক্রমে
উলঙ্গ রাম-দা হাতে জল্লাদ এক।
২.
আমিও ঘুমাই ঘাতকের পাশে গিয়ে
পাথুরে দেয়াল আমাদের ঘুম দেখে
কঙ্কালে জড়ায় আরো কিছু মাংস মতো;
আরো কিছু লাল এসে ভরে যায় হৃদ
ঘাতক চিনে-কী শ্বেতকরবীর কাল?
ছায়া-রোদ, সমবেত নতজানু গাছ—
গাছেদের ফাঁকে ফাঁকে আঁশটে গন্ধের
যে-শরীর ঘুরে ফিরে, কারুকৃতি তার?
কেবল ঘুমের দৃশ্যে আমি ও ঘাতক
অভিজ্ঞ আরেক ঘাতকের কাছে যাই।
চমতকার লিখেছেন। নিরন্তর যুক্ত থাকুন, সংবেদ্য এর পথে...
ReplyDelete