05 July 2016

উম্মে হাবীবা



তোমার নাম
চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি অনিরুদ্ধ
কয়টা কাগুজে নোট
শুধুযে সময় চিবিয়ে খেয়েছে
তা নয়
নিশ্চিন্ত জীবনের আবাহনে
ডেকে নিয়ে গেছে এমন সব দরবারে
যেখানে মোড়কে ঢাকা সুখের পেয়ালায়
ছলকে ওঠা বৈভব দেখে
ফার্মগেট ওভারব্রিজের মেয়েটিকে
মনে পড়তো

খদ্দের ভেবে সবার দিকে এগিয়ে
কিছু একটা বলে থেমে যেতো
মুখের লটকানো হাসি খুলে পড়তো ঝুপ করে
কটা রঙ লিপস্টিক
সস্তা মেকআপের নিচে বলিরেখার উঁকিঝুঁকি

অহেতুক ভাবনায় ছিবড়ে হতো মগজ
তবু শব্দের জন্ম হতোনা
একটা কবিতা
একটা অর্ধেক কবিতার ধারক হতে পারতাম না
এভাবেও হয়ত বাঁচা যায় যেতোও
আমার ইচ্ছে করলো না
তাই বেকার হলাম আবার
তোমার নামের ভেতর ডুবে
কিছুদিন নিরুদ্দিষ্ট থাকতে চাই।।

 


বিশ মে অথবা ক্ষুধার্ত উত্তরবঙ্গ
অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে
আমাদের বিশ মে ধুয়ে যাচ্ছে
আমরা উদযাপন ভুলে গেরস্থালী শিখছি
ওষুধ খরচ বেড়ে যাবার আশংকায়
বাড়িয়ে নিচ্ছি পানি পানের অভ্যাস

জীবনকে যাপন করা শেখা হয়ে গেলে
আমরা আমাদের অতীত ফিরিয়ে আনবো


ততোদিন জংশন থেকে
মালবাহী  ট্রেনেরা বিনা হুইসেলে ছেড়ে যাক
লাইন ম্যানের ফ্লাগ ছুঁয়ে দৌড় দিক
জনৈক পাগল
বিস্বাদ চায়ের কাপে উড়ে আসুক
মাছিদের দলনেতা

মোটা চালের ভাতে হামলে পড়ুক
ক্ষুধার্ত  নীলফামারী কুড়িগ্রাম সমগ্র উত্তরবঙ্গ।।


No comments:

Post a Comment