05 July 2016

নাজনীন খলিল




ছায়া কুড়োচ্ছি 
যেতে হলে 
যেতে হয় এমন 
যেন ছায়ার আঁচড়টুকু কোথাও থাকেনা পড়ে

সেই থেকে টুকরো টুকরো ছায়া কুড়োচ্ছি। 
একটি পুরনো ডাকবাক্স
লালাভ-বিষন্নতার মতো ধুলো-ঝুলে মাখামাখি
আজো বারান্দার সাদা থামে ঝুলে আছে;
অনাদরের মলিন কোঠরে হয়তো এখনো
কিছু নীল খাম... 

অবিন্যস্ত বেশবাস
ঘুম ঘুম চোখে কেউ
প্রতিটি সকালে 
আর খোঁজেনা কোন প্রত্যাশার চিঠি।

ছায়া কুড়োই মায়াটাই পড়ে থাক শুধু




ক্রস কানেকশন
যখন খুলছিল পাতালপুরির শেষ দরোজাটাও,
পালিয়ে এসেছি
সব জানতে নেই-
এই কথা জানার পরেও 

কোন নিষিদ্ধ গল্পের ভেতরে আচমকা-অনিচ্ছুক ঢুকে পড়ি। 
কেন যে...

ক্ষয়াটে মুদ্রাগুলো বারবার নেচে ওঠে হাতের তালুতে।নেচে যাও
নেচে যাও
তামার মুদ্রা
পিতল চাকতি
এভাবেই টুং টাং বেজে ওঠো।
ঘোর স্তব্ধতার হিমাগারে তুচ্ছতর শব্দই বাজনা।
স্বপ্ন বয়ে চলা চোখইতো জলের আধার
কথা জানার পরেই
ছবি আঁকতে চেয়েছিল অন্ধ মেয়েটি;
বাতাসের ইজেলে সাদা ক্যানভাস।


কাগজের নৌকা
রাতের বোতল উপুড় করে, দীর্ঘশ্বাসের মদ পান করেছি গোপনে
তার ফোঁটা ভাগ আমি নদীকে দিয়েছি;
গড়াতে গড়াতে ঠিক মিশে গেছে সমুদ্রের নুনে
আজ আবার বৃষ্টি
আজ আবার কাগজের নৌকা ভাসানো দিন;  
কতদিন স্বপ্নের স্বাক্ষর এঁকে ভাসিয়েছি  ঙ্গী কাগজ

পায়ে পায়ে নিগড়ের নিষ্ঠুর  ঝনকার ছিল পথ ক্ষমাহীন
আকাশ-উদ্যানের সিঁড়িতে রেখেছি দ্বিধান্বিত পদক্ষেপ

কত নক্ষত্রের ফুল জমে আছে আকাশের গোপন পকেটে,
আজো খুঁজে ফিরি
পাথরে পাথর ঘষা আগুন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে যে  তারার ফুলগুলো ,
আমি কুড়িয়ে নিয়েছি ,
মায়াবতি স্বপ্নের ভেতর থেকে কুড়িয়ে নিয়েছি এক টুকরো চাঁদ

গন্তব্য অজানা-
ঘাসফড়িংয়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে
আমিও যে কতবার ঘাস হয়ে গেছি তৃণমূলের জলকণা জানে
আজ আবার-
আনমনে ঢুকে পড়ি এক ছবিঘরে
দেয়ালে ঝুলন্ত ক্যানভাসে খুঁজি
মেঠো আলপথ, শিশির ছড়ানো সর্ষের ক্ষেত
মরফিন-চর্যায় নিঃসাড় পড়ে আছে যে অচেতন দেহ
সে কি সন্নিবদ্ধ হাতের কপাট খুলে হারিয়ে ফেলেছে জাদুর কপোত!

No comments:

Post a Comment