05 July 2016

সঞ্চারিণী

 

























হৃদ-কম্প

কাল, ভূমি কেঁপে উঠেছিলো
কেঁপে উঠেছিলো তোমার অস্তিত্ব-
ও আমার, হৃদপিণ্ড

বিমূর্ত সেই তুমি
চোখে ছিলে, ছিলে মনে-ও
আধ বুজা দু'চোখ ছিলো ধ্যাণে রত।
তপ্ত গাল বেয়ে, বয়ে চলে অশ্রু...
এভাবে কাঁদালে?!
কাঁদলে না কী তুমি-ও?

মৃত্যু ভয়ে ভীত আড়ষ্ঠ কণ্ঠ-স্বর
বিড় বিড় করে পড়ছো যখন
আস্তাগফিরুল্লাহ, সূরা ইয়াসিন
জীবন যখন প্রায় নিভু নিভু
পৃথিবীর সেই প্রলয়ের মুখে তবু
কেন মনে পড়লো বলো-
সেই মুখচ্ছবি, আবেগী কথোপকথণ?
স্পষ্ট উচ্চারণে, সম্বোধণে ভালোবাসা কেন বলে-
"প্রিয়তম", জান আমার! কেমন আছ-"প্রিয়"?!!! ......

কালকের সেই চরম মৃত্যু দিনে
একবার ও কি আসেনি মনে?
তুমি ভুল করে সরে গেছ!
এর পর আসা যত জীবনের মানে
সব মিথ্যে, অপ্রয়োজনীয়
প্রয়োজনীয় মনে হওয়া আর যত কিছু
যশ, খ্যাতি, খমতার গদি
যতই দৌড়াও তার, পেছন নিয়ে পিছু
মঞ্চে পাতা বিশেষ আসন
অগণিত দর্শকের চোখ ছাপিয়ে
কেন দেখ সেই চোখ, অশ্রু-প্রপাত?

কেন আজ তবে অমিত তৃষ্ণায়, যাচনায় কাতর
কম্পিত অধর?
বার বার করে চেপে ধরে অ-স্পর্শ সেই ঠোঁট, ললাট
এঁকে দিতে চেয়ে সবটুকুন হৃদ-কম্পণের ভাষা
কেন অধীর?
সেই দুপুর, সকাল, সেই মধ্য রাত!
প্রকম্পিত ভোর আজ
শিহরিত! শেষ চুম্বণে......




পর্দা পড়বে
বালুঝড় এসে ঢেকে দাও!
সমুদ্র অতল থেকে; তুলে আনো মাটি মুষ্ঠি
আকাশ অরণ্য ছেপে নেমে এসো মেঘ-শিশুদল
ছন্দে নাচো তন্বী কিশোরী বৃষ্টি।
আলো তুমি ফিরে যাও!
সূরযো তোমার চোখ দুটো রাখো মুদে
সফেদ মায়াবী হাসি ঢেকে রাখো, সখী চন্দ্র
তারা ফুল ফোটো মিট-মিটে; ঘাস জমিনে

আহবান আসে কার; যেতে অভিসার?
প্রেমিক নাবিক বুঝি অপেক্ষারত
ক্রমশ নিকটে কে, এই তো!
এই যে, এই তুমি আসছো
মসলিন চাদরে পরায়, সুঁচের কালো সুতো
আরো কাছে, নিবিড় চুম্বণে ঔষ্ঠ্য
কন্ঠচেড়া আর্তনাদ কার ভেসে আসে!
      ধরণী দ্বিধা হও...
        দ্বিধা হও ধরণী!

আলো নিভে যাবে,

পর্দা পড়বে।

No comments:

Post a Comment