05 July 2016

মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম





শত বছর পর তোমার কফিনের
ভেতরে যদি আমার দেয়া
লকেটটা তোমার ছাই হয়ে যাওয়া,
দেহের মাঝে বর্তমান থাকে
তবে আমি একদন্ডের জন্যও হরকে যাবোনা
আমাদের প্রেম ঐ মৃদুমন্দ লকেটটার মতনই
আযৌবনা হয়ে রবে চিরকাল,
তুমি বোলেছিলে,'ধূলোয় ঝাপসা হয়ে যাবে'
-যেতে দাও।
অন্ধকারে থাকতে থাকতে বিবর্ণ হয়ে যাবে,
-যেতে দাও।
দীর্ঘকাল মাটির সংস্পর্শে থেকে থেকে মিশে যাবে।
-যেতে দাও।
রাতের নিঃশব্দতা দু'জনের কথা শোনে অট্টহাসিতে ফেঁটে পড়েছিলো,
আমরা ঠিক বাঁচবো তো এতদিন!
পৃথিবী সহ্য কোরেনি।
সময়ের পর সময় একটু একটু
করে ক্ষয়ে নিয়েছে লকেটের লালাভ রশ্নি।
চারপাশে এত এত অন্ধকার দেখতে দেখতে
হারিয়ে গেছি আমি।
-সাকোঁর ও-পাড়ে আমি অপেক্ষা করবো। আসবে তো?
কথা দিই নি। জানতাম,
 
রাখতে পারবো না, হেরে যাবো।
শ্যামল মেয়েটা ঠিক বুঝে নিয়েছিলো,
স্বার্থপরের মত একা একা পথ খুঁজে নিলো
কামিনী গাছের ধবধবে শাদা ফুলগুলো আর
সে রাত্রে সুভাস ছড়ায়নি।
দো'তলা বেলকুনিটা জুড়ে
 
শুধু একটা ঘন কালো ছায়ামূর্তি ছিল।
ওটা কার ছায়া?
ওর না- আমার মনের ভুল।
ভেবেছিলাম, থাকতে পারবো না একাকী।
অথচ, বোকা মেয়েটা লকেটটা ফেলে দিয়ে গ্যাছে।
আমি বেঁচে আছি

জানো, প্রথমবারের মিষ্টি সকালের
কথা মনে হতে হতে আজো
ঘুম ভাঙে আমার।
বারিধারায় পূর্ণ দুপুরের, মৃদুমন্দ
ছোঁয়া পেতে পেতে ক্লান্তি দূর হয় দৈন্য।
তোমার মুখের মেকি দূরাশার
কথা ভাবতে ভাবতে একসময় রাত
নেমে আসে মনের শহরতলির অন্দরে-বন্দরে।
বেদনা বিধূর ক্লান্তিভরা দেহ নিয়ে
অবশেষে হারিয়ে যেতে থাকি
তোমার ঘন কালো কফিনের ভেতরে,
আচ্ছা! দু'জনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা হবে তো?

No comments:

Post a Comment