ফুল এবং কনডম
ফুল এবং কনডম দুটো কিনতে গেলে আমি রীতিমত ঘেমে একাকার,
লজ্জায় শেষ। দোকানী কি ভাববে/ভাবছে
প্রেমিকা!
বউ!
ছি,
ছি!
কেনা হয়নি কখনো দাম দিয়ে রক্তাক্ত গোলাপ কিংবা তৈলাক্ত বেলুন
আমি ভালবাসতে জানি না
ভালবাসা ঘটানোর জন্য যথাযথ সামগ্রীগুলো কেনার মত প্রেমিক নই বলেই
আমি প্রেমিক হতে পারিনি ।
ইদানীং ভালবাসা আবার গঠনশৈলী ভাবে ঘটানো হয়
বহু ভেবেও সেই শিল্পের সুস্পষ্টরূপ আমি ধরতে পারিনি।
অন্যের বাগানের ফুল কখনো প্রেমিকার হতে পারে না
আমি প্রেমিকা কিনে আনি নি
সাধনা করে পেয়েছি
অতএব, যদি গোলাপই দিতে হয় তবে দিয়ে দিলাম বুকের বাম পাশের বাগানটুকো
যদিও সেখানে গোলাপ জবা বকুল কিংবা জুঁই চামেলি ফুল নেই
আছ তুমি- যে ফুলের রানী
আমার বাগানে আমি তোমাকে চাষ করি।
যাকে আমি চাষ করি হৃদয়ে, গোপনে
ফুলে ফুলে স্বজনে
হৃদয়ের মন্দিরে
বলো মন্দির কি ভাঙ্গা যায়!
আমি প্রেমিক নই,
হ্যা আমি প্রেমিক নই,
প্রেমিক নই বলেই তোমাকে ভাঙ্গার জন্য
হৃদয়ের কোথায়ও কনডম ফ্যাক্টরি তৈরি করিনি।
প্রিয় বন্ধু আমার
প্রিয়বন্ধু আমার-
মিথ্যার চেয়ে তীব্র
আগুন কি আছে আর!
আকাঙ্ক্ষা আর প্রাপ্তির
চাক্কায় পিষে যাচ্ছে জীবন
আসলে এটা জীবন নয় স্রেফ
নরক
আকাঙ্ক্ষায় পিষে পিষে
শেষ করে দেয়
প্রাপ্তিতে আবার মোহের
সৃষ্টি।
এ পৃথিবী যেনো হতাশার
বিছানা
আমরা জোছনা দেখলেও শুয়ে পরি
জোছনা বিলাশ করি।
দৃশ্যপট মৃত্যুর
যেখানে সেখানে কামুছায়া
স্লোগানে পুরুষগর্ভের
দাবী
তারা তো আরও স্বাধীনতা
চায়।
২৫ গ্রাম সুখের ওজন
দুঃখের ওজন নেশা
আহ্! ম্যারিজুয়ানা
মস্তিষ্কের খোলসে ঘোরে
বেদানার দানা।
নখের মধ্যে লুকোচুরি
করে প্রেমিকার পিঠের চামরা
দুয়ার খোলার পর !
দুয়ার খুলে দেখি হরিনের
হয়েছে সর্বনাশ
সিংহের মুখে রেখে গিয়ে
নখের মধ্যে দিয়ে গেছে স্বাদ।
সর্বহারা জেগেছে শরীরে
দোবরার মত সাজ
বাঘপুরুষের হাত ধরেছে
প্রেমবিলাশিনী আজ
নখ ভর্তি রেখে গেছে
তার ময়লা পিঠের দাগ,
আহ্! ম্যারিজুয়ানা
মস্তিষ্কের খোলসে ঘোরে
বেদানার দানা।
আমারও একটু স্বাধীনতা
দরকার
অলস পৃথিবী নিংরে দেখবো
মজুদ আছে কতখানি হতাশ।
প্রিয়বন্ধু আমার- স্বাধীনতা
হবে পুরুষের জন্য ?
বিনিময়ে খোরাক দেবো
যা চাও তুমি
যে ভাবে চাও।
হৃদয়ে
মৃত্যুর ঝংকার
মৃত্যুর এক ঝংকার হৃদয়ে থাকি থাকি উঠে বাজিয়া
মৃত্যুর স্বাদ এই বুঝি নিতে যাব গেল চক্ষু নিভিয়া,
ওগো যৌবন তোমারে বুঝি ছোট রাখিয়া যাইবো চলিয়া
ওগো বৃদ্ধকাল তোমারে আর দেখা হইলা নয়ন ভরিয়া
হস্তে রাখিয়া সুখ, নাজরানা পথের কুমার নিয়া যায় হাটে
অথৈসায়ার কেমনে দিবে পারি মৃত্যুকালীন তেষ্টায় কে দিবে মুখে জল তুলে।
হৃদয়ের সংকেতধ্বনি আমারে বুঝায়েছে কত ছবি
বুঝায়েছে এমন কত- অমুক স্থানে নামিবে ঝড়, হাওয়া, কম্পন
দিয়েছে বহু দুঃখের সুখের আগাম কুহুধ্বনি
শুনায়েছে কত বুকের শব্দছবি, ভালবাসার নীরবধ্বনি,
সত্য মোজেজার মত তাই হয়েছে আমি তো আশ্চর্য হইনি মোটেও!
তবে আজিকার হৃদয়ে মৃত্যুধ্বনি চুপচাপ আমারে কেন ডুবায় বিষণ্ন্নতায়
এই তো এখনই হতে পারে মোর জীবন প্রণয়
কিসের ভয়, কিসের ক্ষয়, এ মৃত্যুতে সংসারের হবে জয় ।
তোমাকে খুব মনে পরে
জ্বালাময়ী
নিরু সেদিন রাত নিয়ে এসেছিল ভ্যানিটিব্যাগে
আমি দেখে খুব হেসেছিলাম
ভ্যানিটিব্যাগের রাতে চাঁদ ছিল মুক্তার মত জ্বলে
তোমার মত কেউ পারলনা বুকের মধ্যে অন্ধকার ঢেলে দিতে ।
তোমার কপালে থাকত অমাবস্যা রাতের টিপ
ঠোঁটে জোড়ায় ঘোলা জলে লেপ্টে থাকত অন্ধকারে
নিঃশ্বাস বুনত গহিন বনের সুপ্ত উষ্ম আঁধার
ভ্যানিটিব্যাগে আমার জন্য প্রস্তুত ছিল তোমার সর্বনাশ।
তোমাকে খুব মনে পরে জ্বালাময়ী অন্ধকারে।
গভীর ঘুমেও আমি ঘুম থেকে পালাই অন্ধকারে
আমার কোন লক্ষ নেই তোমার বিদায়ের পরে।
ইটের ভাটায় পরে থাকি পুড়তে দেখি মাটি
নিরু মেয়েটা পরে আছে আমার সাথে
সেও পুড়তে দেখে, পুড়তে দেখে প্রেমিক।
তোমাকে খুব মনে পরে জ্বালাময়ী অন্ধকার গুহাতে।
মোবাইলের গ্যালারীতে রাতে তোলা ভুরি ভুরি অন্ধকারের ছবি।
অন্ধকারে কি পাও এত? নিরু একদিন প্রশ্ন করেছিল,
প্রতিটা মানুষই তার জীবনের গল্প বলতে পছন্দ করে
আমিও করি অন্ধকার আমার জীবনের গল্প
তাই ছবি তুলে তুলে জমাট করি তোমাকে দেখাই ।
নিরুও জানে-
তোমাকে খুব মনে পরে জ্বালাময়ী অন্ধকার রাতে।
একটা ব্যক্তিগত রাতে নিরুর বুকে তোমার গন্ধ পেয়েছিলাম
পাগলের মত আমার ধারালো নখ দিয়ে
চামরা তুলেছি নিরুর বুকের পিঠের ।
হায়ানার মত রক্ত নিয়েছি চুষে, খুঁজেছি তোমার অস্তিত্ব
অন্ধকার কেটে যাওয়ার পর নিরুকে দেখলাম ছিন্নবিচ্ছিন্ন
আমার শরীর ভেজা রক্তে, হ্যাঁ, নিরু আর বেঁচে নেই
মেরে ফেলেছি তোমায় মারতে গিয়ে ।
সে রাতে তোমাকে খুব মনে পরেছিল জ্বালাময়ী
যখন দ্বিতীয় প্রেমের বুকে পেয়েছিলাম প্রথম প্রেমের গন্ধ।
পতিতাশালা
শান্ত চোখ
লাল করে
বলে উঠলাম
"চুপ একদম
চুপ"
সামনে বসে
থাকা নারীটা
চুপ হয়ে
তাকিয়ে রইল
শূন্যে ।
আমি আপনার কষ্ট ছুতে চাই
কিভাবে ছোয়া
যাবে ?
লৌহ দন্ডটি আপনার যোনী ছিদ্র করলে কি কষ্টের খনির সন্ধ্যান পাওয়া যাবে ?
লৌহ দন্ডটি আপনার যোনী ছিদ্র করলে কি কষ্টের খনির সন্ধ্যান পাওয়া যাবে ?
তাহলে আমি
সংকোচহীন ভাবে
যোনি ফাটাবো
।
কফির পেয়ালায়
চুমুক দিন
বারান্দায় চলুন
সময়ের যত
দাম হয়
আমি দিবো
সব বলা
আছে দালালকে ।
বারান্দার ওই
কোণে একটা
সবুজ গাছ
থাকলে মন্দ
হত না
মনে হচ্ছে
অনেক দিন
কেউ বারান্দায়
পা রাখেনি
আচ্ছা কোন
ক্রেতাও কি
কোন প্রয়োজনে
বারান্দায় আসেনি
?
মাথা নারিয়ে
না সূচুক
সংকেত দিলো
মাথা নিচু
করে ।
তাদেরও লজ্জা আছে
তাদেরও লজ্জা আছে
তারাও দেবী হয়
ময়লার ডাস্টবিন ভেঙ্গে মসজিদ মন্দীর হয় ।
" আপনার কাজ করবেন না ? " ধ্বনি হাকে ব্যাবসায়ী কণ্ঠে
আমার দন্ড
এত বড়
নয় যে
আপনার অন্তরের
প্রাচীর ভেঙ্গে
কষ্ট নামক
পাখিগুলোর মুক্তি
দিবে
অন্যকোন উপায়
থাকলে বলুন ।
বাদামী রঙ্গের কফির শরীর কুকুরে মত ছিড়ে খাচ্ছে নেমে আসা সন্ধ্যা
জমে থাকা ফ্যানা মিশে যাচ্ছে চোখের সামনে একে অপরের সাথে
কফিও খুব উপভোগী
মাত্র যুবতী হয়ে পুরুষও পেয়ে গেছে
বিদেশিদের মত সন্ধ্যাও বোধয় বাদামী শরীর লোভী
এ দৃশ্য দেখে আমি উত্তেজিত
হতে চাই না বরং এ কফি সন্ধ্যার
আহার।
চলুন আমরা ভিতরে যাই
আলো জ্বালাই
আপনাকে দেখি ।
ঘর অন্ধকার
আলো নেই
কথা নেই
শুধু বসে
থাকা
নীরবতা আর
নিঃশ্বাসের নিঃশ্বাসের
সঙ্গম ।
দু পক্ষের
নিঃশ্বাস গভীর
ভাবে মিশে
যাওয়ার ভাষা
আলাদা করতে
হিমশিম খেয়ে
যাচ্ছি ।
তীব্র থেকে
থেকে তীব্র
ভাবে কষ্ট
হচ্ছে
ফুলে ফুলে
উঠছে মিয়া
সাব
অন্ধকারের এই
জ্বালা যৌবন
ঢাকে না ।
তরিহরি করে
লাইট জ্বালিয়ে
দেখি,
পায়ের উপর পা তুলে লালসালুর মত ডুবে আছে জলে ।
মেয়েটির চোখের
কোণে জল
থাকবে
এমনটা ভেবেছিলাম ,
হয়নি বলে
ধরে নিলাম
ইনি পাক্কা
ব্যবসায়ী
আবেগের কোন
ঠাই নেই
মাস্তুলে ।
যেকোন কিছু
যখন আমি
প্রথম কিনি
প্রতিবার বড়
একটা ধরা
খাই
প্রথম যখন
স্মারট ফোন
কিনি চরা
দাম দিয়ে
এসে দেখি
ভিতরটা ফাকা
নিয়মটা আমার
পছন্দ হয়েছে
বলেই নিয়মের
অনুসারী ।
কষ্ট ছুতে
পারবো নারীর
দন্ড নয়
বড় তার
মধ্যে অতটুকোন
ফুটো
ভিতরটায় রহস্যের
অলিগলি
হলো না
কষ্ট পাখির
মুক্তি ।
অর্থের ক্ষতি
পুষিয়ে নেয়া
যায়
বিবেক ক্ষয়
হলে বিবেক
পাওয়া দায়
দরজা খুলে
বেরিয়ে পরি
নিয়নের রাস্তায়
।
No comments:
Post a Comment