25 October 2015

ফ্লোরা সরকার






প্রায় প্রত্যেক সমাজে কিছু কিছু সমস্যা থাকে, যা সহজে সমাধান হতে চায়না। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িকতার মতো বিষয়গুলো। ভারতে সাম্প্রদায়িক সমস্যা নতুন কোনো বিষয় নয়। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র করার পরেও, ধর্ম তাদের যেন ছেড়ে যেতে চায়না। মানুষের নাম থেকে শুরু করে পরিধেয় বস্ত্র, খাবার, আচার-রীতি-নীতি, সবকিছুর মধ্যে দিয়ে যেনও সাম্প্রদায়িক বিভেদকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এ যেন এক শেষ না হবার গল্প। আর তাই নন্দিতা দাশের ফিরাক২০০৯ সালে নির্মিত হলেও, ছবির বিষয় ঘুরে ফিরে আবার আমাদের সামনে এসে হাজির হয়। ২০১০ সালের মার্চ মাসে ফিল্মফেয়ার এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফিরাকছবিটির জন্যে শ্রেষ্ঠ ছবি, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ আবহসঙ্গীত এবং শ্রেষ্ঠ কস্টিউম ডিজাইনের জন্যে নন্দিতা দাশকে যখন পুরস্কার প্রদান করা হয় তখন তিনি বললেন, “আমি জানি এখানে উপস্থিত অনেকে আমার ছবিটি দেখেননি। পুরস্কার গ্রহণের চেয়ে আমি বেশি খুশি হবো যদি ছবিটি সবাই দেখেন

খুব বড় মাপের চলচ্চিত্র প্রেমী না হলে এমন কথা কেউ বলতে পারেন না। নন্দিতা দাশ সেই বড় মাপের চলচ্চিত্র প্রেমীদের একজন। আর তাই ছবিটি যখন দর্শক দেখতে বসেন তখন স্তম্ভিত না হয়ে পারেন না। ২০০২ সালে গুজরাটে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প নির্মিত। দাঙ্গার ছবি হলেও ছবিতে কোথাও দাঙ্গা দেখানো হয় না। সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতার গল্প হলেও ছবির কোথাও কোন রাজনীতি বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয় না। শুধু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার একটি কোলাজ নির্মাণের মাধ্যমে পুরো গল্প আবর্তিত হতে দেখা যায়। ছবি শুরুর আগে তাই পর্দায় দেখা যায় লেখা- “A work of fiction, based on a thousand true stories”  দাঙ্গার এক মাস পরে কোন একদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত ছবিটিতে পরিচালক জীবনবোধের নিখুঁত চিত্র অঙ্কন করে গেছেন। চরিত্রগুলোর জীবনে অতীতে কী ঘটে গেছে তা বুঝতে দর্শকের একটুও অসুবিধা হয় না। কোথাও কোন থেমে থাকা তো নেই-ই, বরং পুরো ছবি জুড়েই অসম্ভব উকণ্ঠা, ভীতি, ত্রাস আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায়। দর্শক টান টান উত্তেজনায় ছবির পর্দায় অখন্ড মনোযোগ রাখতে বাধ্য হন।
 
ফিল্মফেয়ার হাতে পরিচালক নন্দিতা দাশ
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সাধারণ মানুষের জীবনের ওপর কতটা আতঙ্ক, অবিশ্বাস, সন্দেহ, একরূপতা বা অভিন্নতার সংকট, আত্মপরিচয়ের সংকট, বিদ্বেষ আর ঘৃণার উদ্রেগ সৃষ্টি করতে পারে, কতটা অসহায় করে তুলতে পারে তারই যেন জীবন্ত কোলাজ ফিরাকবিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন চরিত্রের সমাবেশের কোলাজের মাধ্যমে কাহিনী এগিয়ে গেলেও, প্রতিটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। ছবিতে দেখা যায় দাঙ্গার এক মাস পরেও সবাই সেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই আতঙ্ক থেকে হিন্দু-মুসলমান কোন সম্প্রদায়ই বাদ পড়ে না। এই আতঙ্ক কোন শ্রেণী মানে না। ধনী, গরীব, মধ্যবিত্ত সবাই এই আতঙ্কের শিকার। আতঙ্কের ভয়াবহতা বোঝাবার জন্যে পরিচালক শুধু দরজার কড়া নাড়ার মধ্যে দিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। তাই ট্যাক্সিচালক হানিফ যখন তার বন্ধুর বাড়িতে যায় সেই বন্ধু দরজার কড়া নাড়ার শব্দে চমকে ওঠে,সঙ্গীতকার খান সাহেব (নাসিরুদ্দিন শাহ) এর বাসায় কড়া নাড়ার শব্দে তার কেয়ারটেকার করিম কেঁপে ওঠে, তেমনি কেঁপে ওঠে মুসলমান ব্যবসায়ী সামির যখন তার ঘনিষ্ঠ হিন্দু বন্ধুর বাড়িতে যায়। যে বন্ধু আবার তার ব্যবসার পার্টনার। দরজার এই শব্দ সব থেকে আলোড়িত করে গুজরাটি পরিবারের এক গৃহ বধু আরতী (দিপ্তী নাভেল) কে। দাঙ্গার সময় নিম্নবর্গের এক অসহায় মুসলিম নারী তার বাড়িতে আশ্রয়ের জন্যে দরজায় বার বার করাঘাত করলেও আরতী ঐ সংকটের সময় তাকে আশ্রয় দিতে পারেনি। মানুষের জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার মানবিক আবেদনে সাড়া দিতে না পারার অক্ষমতার অনুশোচনা আরতীকে বার বার পীড়া দেয়, ছবিতে তাই আমরা দেখি যে, সে দরজার কাল্পনিক শব্দে বার বার কেঁপে ওঠে। দাঙ্গা খুব ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যেও অবিশ্বাস, ফাটল আর সন্দেহের জন্ম দেয়। তাই ট্যাক্সি ড্রাইভার হানিফের স্ত্রী মুনিরা তার বাড়ি লুট হবার পেছনে সন্দেহ করে জয়তীকে। যে জয়তী শুধুমাত্র মুনিরার নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। প্রাত্যহিক জীবন যাপন আর বিপদ আপদের নিত্যসঙ্গী। তবু মুনিরা মনে করে জয়তী জানে কারা মুনিরার বাড়িতে আগুণ লাগিয়েছে। কিন্তু সে বলছে না। জয়তী বার বার বোঝায় দাঙ্গার কিছুদিন আগেই সে তার মাসির বাড়িতে বেড়াতে চলে গিয়েছিল, কিন্তু মুনিরার অবিশ্বাসী মন বিশ্বাস করতে চায়না। সাম্প্রদায়িকতার বিষ কীভাবে মানুষের সকল সম্পর্ককে ভেতর ও বাইরে থেকে বিনষ্ট করে দেয়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মুনিরা-জয়তীর আন্তসম্পর্ককে নন্দিতা দাশ সেলুলয়েডে শিল্পমন্ডিতরূপে ফুটিয়ে তুলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানবিক সম্পর্কেরই বিজয়  হয়। মুনিরা-জয়ীতার সম্পর্কের পুনরুজ্জীবনের মধ্যে দিয়ে এই সুন্দর সত্যটিও পরিচালক নিপুণ ভাবে এঁকেছেন। একরূপতা বা অভিন্নতার সংকট এই ছবির অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামির যখন তার বন্ধুর বাড়িতে যায়, তখন তাদের কয়েকটা সংলাপ লক্ষ্য করলেই এই সংকট ফুটে ওঠে-
সামির: কোন হিন্দু মৌলবাদী কিছু করলে, তাদের কোথাও লুকাতে হয় না। আর কোন মুসলিম বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়।
বন্ধুটি জিজ্ঞেস করে- আমাদের বলতে তুমি কী বুঝাচ্ছো?”
সামির: আমি জানিনা এই আমিকখন কবে থেকে আমরাহয়ে গিয়েছে।
কিছুক্ষণ পর সামির জানায় যে সে আর তার বন্ধুর সঙ্গে পার্টনারশিপে থাকতে পারবে না, বন্ধুটি তাকে বলে যে সে সামিরকে ছাড়া দোকান চালাতে পারবে না। উত্তরে সামির বলে-ঠিক। তুমি আমাকে ছাড়া দোকান চালাতে পারবে না। কিন্তু তোমার দোকানটা যে আজ নেই সেটাও আমারই কারণে(কারণ সামির মুসলমান হওয়ায় সেই দোকানটা দাঙ্গার সময় লুট হয়ে যায়)
সাম্প্রদায়িকতা আত্মপরিচয়ের সংকটকে কত জটিল জায়গায় নিয়ে যায়, ছবির বেশ কিছু দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই। একটা দৃশ্যে সামির বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে- তোমাকে কখনো তোমার কাজের জায়গায় তোমার নাম পরিবর্তন করতে হয়েছে? তুমি যখন কোন পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে পছন্দ করো কখনো কি দুবার ভাবতে হয়? তোমাকে কখনো কি এই ভয়ে থাকতে হয় যে, তোমার প্যান্ট খুলে কখন পরীক্ষা করা হবে?” আত্মপরিচয় সংকটের আরেকটা চমকার দৃষ্টান্ত আমরা দেখি গৃহবধু আরতী যখন রাস্তা থেকে মোহসীন নামে এক মুসলিম এতিম বালককে বাড়িতে নিয়ে আসে। আরতী তার শ্বশুরের সামনে ছেলেটির পরিচয় দেয় মোহন নামে। মাত্র  ছয় সাত বছরের শিশুও এটা লক্ষ্য করে। সে রান্নাঘরে বসে আরতীকে বলে-আমার নাম মোহন না, মোহসীনআরতী তাকে বুঝিয়ে বলে-রান্নাঘরের ভেতরে তুমি মোহসীন আর বাইরে মোহনকারণ আরতী জানে এই মোহসীনবাইরে মোহননা হলে তার অনেক ধরণের বিপদের আশঙ্কা আছে।

কলাকুশলীদের সাথে পরিচালক নন্দিতা দাশ
দাঙ্গা সাধারণ মানুষের ভেতর কতটা ঘৃণা আর বিদ্বেষ ছড়ায় ছবির নানা জায়গায় দেখা যায়। দুটো উদাহরণ দেখলেই আমরা বুঝতে পারবো। সামির যখন রাস্তার ধারে তার স্ত্রী অনুরাধা দেশাইকে নিয়ে কিছু খাওয়ার জন্যে বসে,তখন দোকানদার কথা প্রসঙ্গে তাকে বলে-আমাদের ধৈর্যশীল হতে শেখানো হয়। আর ওদের (মুসলমানদের) মৌলবাদীএই ঘৃণার চরম পরাকাষ্ঠা আমরা দেখি ট্যাক্সি ড্রাইভার হানিফের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। একটা ঘটনায় পুলিশ হানিফকে ধাওয়া করে। দোতলা বাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা একজন লোক হানিফকে তার বাড়ির পাশ দিয়ে দৌঁড়ে যেতে দেখে। পুলিশ তার বাড়ির সামনে খুঁজতে থাকলে লোকটি জিজ্ঞেস করে কাকে খুঁজছে।পুলিশ জানায় একজন মুসলমানকে। সে তখন দেখিয়ে দেয় হানিফ কোনদিকে গেছে। কিন্তু পুলিশ যখন শেষ পর্যন্ত হানিফকে না পেয়ে চলে যায়, হানিফ তখন ক্লান্ত পায়ে সেই লোকের বাড়ির সামনে বিশ্রাম নেয়ার জন্যে দাঁড়ায়। লোকটি তার মাথার ওপর বড় একটা সিমেন্টের খন্ড ফেলে দিলে হানিফ সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।

দাঙ্গার অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য নন্দীতা দাশ বেছে নেন ছোট শিশু মোহসীনকে। যা দর্শকের হৃদয়কে শুধু স্পর্শ করে না, স্তম্ভিত করে তোলে। দাঙ্গায় মোহসীনের মা, ভাই, বোন সবাই মারা যায়। তার বাবা তখন দোকানে ছিলো। কিন্তু তারপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। ছবির শুরু থেকেই আমরা দেখি শিশুটি তার বাবাকে খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু পায় না। ছবির শেষ দৃশ্যে দেখা যায় সে একটা শরণার্থী শিবিরে আসে, যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ মুসলমানদের রাখা হয়েছে। মোহসিন খুঁজে বেড়ায় তার বাবাকে। তারপর ক্লান্ত হয়ে একটা জায়গায় বসে। ক্যামেরার ধীর প্যানিং মোহসীনকে ধরে, মোহসীন ক্যামেরার দিকে শূণ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সেও যেমন জানে না তার বাবাকে সে আদৌ খুঁজে পাবে কিনা, তেমনি জানেনা দর্শকও। ছবির এই বিশেষ মুহূর্তে মোহসীনের সঙ্গে দর্শকও একাত্ম হয়ে অসহায় বোধ করে। ছবি শেষ হয়ে গেলেও দর্শক তাই সঙ্গে সঙ্গে উঠে যেতে পারে না।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মতো চরম অমানবিক বিষয় পরিচালক নন্দিতা দাশ অসাধারণ দক্ষতায় মানবিক করে তোলেন। সাম্প্রদায়িকতার ওপর ছবি হলেও পরিচালক ভাষার ক্ষেত্রে খুব সচেতন ভাবে ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তাই ছবিতে আমরা দেখি হিন্দী, উর্দু, গুজরাটি আর ইংরেজি ভাষার অসাম্প্রদায়িক মিশেল। স্বল্পভাষী আরতীর ভূমিকায় দিপ্তী নাভেল তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতায়, শুধু মুখের অভিব্যক্তি দিয়ে তার কষ্ট স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন। অথবা আরতী হয়তো স্বল্পভাষী নন, দাঙ্গার বীভসতা তার সব কথা কেড়ে নিয়েছে। দিপ্তী নাভেল যে একজন অত্যন্ত উঁচু মাপের অভিনেত্রী আবার প্রমাণ করলেন। খান সাহেবের চরিত্রে নাসিরুদ্দিন শাহ পর্দায় এলেই যেন ধ্রুপদী সঙ্গীত বেজে ওঠে। তার কেয়ারটেকার রহিমের চরিত্রে রাঘুভেব ইয়াদাভের অভিনয় দেখে একবারও মনে হয়নি যে তিনি কেয়ারটেকার ছাড়া অন্যকিছু। চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নন্দিতা দাশ যে কতটা যত্নশীল সেটা বোঝা যায় খুব ছোট চরিত্রেও যখন শক্তিশালী অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে দিয়ে অভিনয় করতে দেখি। প্রত্যেকের অভিনয় এতো জীবন্ত, এতো প্রাণবন্ত যে আলাদা করে কিছু বলার নেই।

ডিটেলের ব্যপারে নন্দিতা যেন অনেককেই ছাড়িয়ে যান। আরতী যখন মোহসীনকে তার শ্বশুরের কাছে নিয়ে যায়, তার আগে মোহসীনের গলার তাবিজটা গলার কাছ থেকে ঘাড়ের দিকে ঘুরিয়ে দিতে ভুল করেন না পরিচালক। যেমন ভুল করেন না জয়তী যখন মুনিরাকে বিয়ে বাড়িতে মেহদী লাগাবার কাজে নিয়ে যায়, তখন বাড়িতে ঢোকার আগে মুনিরাকে হিন্দু বোঝাবার জন্যে নিজের টিপটা খুলে তাকে পরিয়ে দেয়। এই টিপ জয়তী আবার পরে, যখন সে পুলিশের সামনে যায়। সাধারণ তাবিজ আর টিপ যে কত বড় সাম্প্রদায়িক চিহ্ন সেটা পরিচালক নিপুণ দক্ষতায় বুঝিয়ে দেন। ছবির লোকেশন এবং সেট, কিছু কিছু জায়গায় এমনভাবে বাছাই এবং নির্মিত করা হয়েছে যে- বাড়িঘর, রাস্তাঘাট দেখলে মনে হয় কোন বিধস্ত নগরীর পরাবাস্তব জায়গায় আমাদের নিয়ে গেছে।

আবহসঙ্গীত ছবিটিকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছে। ছবির টাইটেল মিউজিক দর্শককে যেন সম্মোহিত করে রাখে। কোথাও আবহ সঙ্গীতের মাত্রার কোন স্খলন ঘটে না। নিখুঁত সম্পাদনার ছবিটি তাই শেষ পর্যন্ত নিখুঁত থেকে যায়। দর্শক মুগ্ধ না হয়ে পারেন না।  

--------------০--------------

No comments:

Post a Comment