একগুচ্ছ কবিতা
ক.
...রাত্রি
তুমি কি কেবলি ভোরের প্রসব বেদনা বয়ে বেড়াও?
কত্ত সন্তানই তো
প্রতিপালিত করলে, কেউ কি তোমাকে রাত্রিমা বলে ডাকে?
ভরণপোষণের দায়িত্ব
নিয়েছে-
অথচ আমার বৃত্তছায়া ও লোনা জলীয়বাষ্প চেয়ে আছে
সারিবদ্ধভাবে।
চেখে দেখলে না!
খ.
পৃথিবীবারান্দায়
আমাকে বৃক্ষের মতো ঝিমাতেই শুধু দ্যাখ?
আমিও প্রলয়ঙ্করী হতে
পারি, বিরলতম
কোন ঝড়ে!
একটুখানি দুলুনি তো
দেবে!
শহর
সংকুচিত পোশাক পরে
থাকা এ শহরের জিভ থেকে সুখাদ্য চুম্বন নয়, ত্রিকোণে ঝুলে থাকা সীসাগন্ধবীজ
সমগ্রই ভেসে আসে।
গ্রন্থ
শুধুমাত্র ক্রেতা ও
বিক্রেতার ব্যবহৃত পোশাক হবার জন্যই যেন মরা মাছের মতো তাকিয়ে থাকে!
মুদ্রা
বৈষয়িক নয়, জমাটবদ্ধ হৃদয়ের
অমিমাংসিত সুখের স্বর্গরাজ্য গড়তে চায় সবাই। কিন্তু শুধুমাত্র মুদ্রাদের
মুদ্রাদোষে অর্থাৎ
নিরুত্তাপ মনোভাবের কারনেই বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হয়না!
প্রস্তরযুগের ভাতশালিক
মূলত তুমি না, আমিই এক প্রস্তরযুগের
ভাতশালিক। তোমার সব অন্তিম ভুলকেও ঠোঁটের নিভৃতনগরীতে প্রেম ভেবেই পুষে
রাখি!
No comments:
Post a Comment