আমার মুক্তমঞ্চের উঠোনে,ঝাপসা কুয়াশার মতই তুমি অধরা। কৃত্রিমতার বিস্ময়
যেখানে ফাগুনকে ছুঁয়ে যায়নি।কুঞ্জবনের কঙ্কনঝংকারে গীতস্রোত তুলে যায় যে কৃষ্ণচূড়া,যে তুমি অপার্থিব মিশ্রণে মিশে আছো,সে তুমি
কম্পিত কবিতা নিয়ে নিরুপম অসুখ ছড়িয়ে যাও। ফাঁদে আটকে পড়া ঘুঘুর চোখে শঙ্খচিলের
ডানা মেলা চিত্রালিপি ফুটিয়ে তুলছো,এক বায়বীয় শিহরণ যা
অস্থিত্ব জানান দেয় উপলব্ধি নয়…
খেলাঘরের
আলোড়ন যেখানে তোমার অক্ষত পদ্মপঙক্তি পড়ে এধার ওধারঘেঁষে,সে তুমি একেমন নির্ভুল পথপ্রদর্শক! তোমার উদাসীন
বসন্তের মন্ত্র আমায় ঘিরে রাখে,
আমার মাঝে
আমাকে স্বতন্ত্র করে…!
তোমার নির্ঝরের মতন বয়ে যাওয়া স্রোতধারা,স্নানার্থীনি পিপাসু লতাগুল্মের দল। বাতায়নে তোমার
আলোকছটা,ক্ষণে ক্ষণে ছিটকে আসা
নিবিড়তা।যেন হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে গুঁজে দিলে চোখে।অজানাতে অরণ্যে যেখানে
বনবাদাড় স্বাধীন।তুমি মিশে আছ খুব ভোরে যখন সুর্য আলসে ভাঙ্গে।
তোমায় নিয়ে রবীন্দ্রনাথ, ছোট ছোট পায়ে নদীর গোধুলিতে আমার ধূসর বিকেল
কাটে। অদৃশ্য শিহরণ যা ভাবতে শেখায়,ভাবাতে শেখায়। তোমার
হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া হৈমন্তী খুঁজে ফিরি নিজের মাঝে।মুগ্ধমনে কেবল ছোঁয়া খুঁজে
বেড়ায়। উপলব্দির আলোড়নে তোমার পদচারণায় বিশালতা পেল শিল্প। তুমি রবীন্দ্রনাথ,তোমার উদাসীন বসন্তের মন্ত্র আমায় ঘিরে রাখে,
আমার মাঝে
আমাকে স্বতন্ত্র করে…!
No comments:
Post a Comment