আয়না
মা বললেন ভাঙা আয়নায়। কখনো মুখ দেখিস না। মুখ ক্ষয়ে যাবে। মুখ কেটে যাবে। দেবতার কাছে তোর এই কাঁটা-ছেঁড়া প্রার্থনা। কোনদিন পৌঁছবে না।
বাবা বললেন। দেখিস। আয়নার সৈন্ধব ঘাটে ঘাটে। লবন-লবন খেলিস নে। সেই কবেকার গামাযুগের নোনাপানি। পায়ের তলায় খুব খিলখিল। ভেসে থাক।
জেনে রাখ। যাকে প্রার্থনা ভেবেছিস। সে আসলে অনুবাদকের সমান।
দেবতা বললেন। আয়নায় মুখ দেখার আগে। একটা কথা পরিষ্কার ঝালিয়ে নেওয়া যাক। আয়না যেমনি হোক। ভাঙা অথবা গড়ার। মুখের কোনদিন হাত-বদল হয় না। ঠিক ঠিক ছুঁতে পারলে। অপলক আমি। আমার আয়নায় দু’একটি উড়ুক্কু ভোঁ ছাড়া। আর কোনো কাচ নেই।
তোমার নিত্যশিশুতে। তোমার মায়ের অঘোরে। তোমার বাবার অনিত্য আস্তিনে। আয়নাহীন। তীরহীন। তৃণহীন। নিরপেক্ষ। নিরুত্তাপ। কেমন ফেনা– ফেনা চাকাশূন্য। সাধুসমুদ্রিকা।
No comments:
Post a Comment