22 August 2017

রাজন্য রুহানি


প্রস্রুত প্রমাদ
পা ফেলতে ভয়
পথগুলো সাপ
নীলরঙা জামা

পরিপার্শ্ব আয়নায় শিকারির পদশব্দে সে বৃক্ষের শাখ ছেড়ে উড়ে গেছে পাখিডাকা ভোর, তার নাম ভয়, আত্মরতি মেলে দেখি ফুলপাতার প্রণয়ে পাখিরা তো স্বর্গীয় পিদিম...

সমূহকথা রূপকথায় পা রাখলে বিষাক্ত লোবান ধূপচন্দন ক্রুশের আহাজারি, যে খামারে তৈরি হয় নাগরিক ব্যাধি তার অংশীদারদের জিহ্বা দু ভাগে বিভক্ত, সাপের আধিক্যে ডুবে গেছে পথগুলো...

আর এই আমি, দেখ, তুমি তোমার মধ্যকার বিম্বিত হতাশা, তার জামা নীল...



ভেড়াদের পিঠে ঘোড়ার চাবুক
দিন বদলের কথা বলে
নিজেরাই বদলে নিয়েছে দিন
মোসাহেবী পথে,
আমাদের ভাগে ঝরাফুল-
তারার তিমির

বুকে হাত রেখে
তারাকথা দিলামবলেছিলেন খুব,
আমরা বুকের বোতাম খুলেছিলাম
সমিল কাতারে

তারাই মানুষ, ভোজনের অধিকারী,
আমরাই ললিপপ আজ



প্রতিভাব
ধরো, আমি অমানিশা-রাতি
জোনাক আলোতে মিশে থাকা
আত্মার আহার

জানি, তুমি বিকর্ষ হেলেন
অভিকর্ষ চোখে
জন্মান্তরের পাতাবাহার

ঘড়ি নষ্ট হলে
বাগান জঙ্গল মনে হয় মুকুটহীন রাজার



ঘুড়িচোখের সন্ন্যাস
বিপন্ন রোদ্দুরে ঘুড়িচোখ দুরবিন
কবেকার খেলা ছেড়ে শূন্যমাতাল পৃথিবী
নাটাইয়ের গোলকে বাঁধা

যাপনের ক্লেদঘেঁষা ঘ্রাণ
প্রণয়ের ছাই
যতটা হৃদয় চিরে গেলে তরমুজের বিশ্বাস
লালের সামনে আর কোনো বিধায়ক নেই

সমূহ স্বপ্নের বুকে আকাশনিনাদ
প্রত্যেক পাঁজরে একমুঠো গোপন রঙের মৃত্যু
খসে পড়া নক্ষত্রের ঠোঁটে ব্রহ্মাণ্ডের ক্যানভাস

No comments:

Post a Comment