অতল, তোমায় ডাকি
জাড্য পাখী, উড়বে বলে ডানা মেলে। আমরা আপদ কাল লিখে রাখি। মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি
রাস্তায় ফেলে রাখা দ্বিখণ্ডিত ডাবের খোলের মত, যেন ছাপোষা চাপরাশি কোনো। যার মাথা উঁচু করার দম্ভ হয়না কোনো কালেই। অথচ তার জন্ম তো মাথার উপরেই ছিলো, নাগালের বাইরে।
দেখ রোদ উঠলেই বৃষ্টির জন্য হাহাকার করি, বৃষ্টি এলে পচে যাই, শুকোতে চাই মনের মধ্যে জমা রাখা ছোট্ট ছোট্ট ইজের। স্বপ্ন লিখি তোমাকে, তুমিও লিখেই যাও। কেউ উল্কার গল্প বললে গুনেই তেমনি ছাই ভস্ম হতে ইচ্ছে করে। মাছের গায়ে কাদার আঁশের মত ছাড়িয়ে নেই ইচ্ছের একপ্রস্থ বাকল। কষ ঝরে, কষ্ট ডাকি তারে। পুষে রাখি সাপ, কিন্তু ছোবল দেই না।
আমি তোমার সিংহল সমুদ্রের পাড়ে হুহু করে ঘুরে বেড়ানো প্রাচীন বাতাস, আর তুমি দূরবর্তী আলোকবর্তিকার মতোই তল ফেঁসে যাওয়া জাহাজের খোল, কী আপ্রাণ চাইছো ছুটে আসতে, কিন্তু হচ্ছে কোথায়। নিজেকে হাঙ্গরের দাঁতের মতো লাগে, রোদ ফেলো তুমি, আর আমি ঝিক করে উঠি। আবার বিষাদ তোমাকে গিলে নিয়ে শ্যাওলা পিছল পুকুর হয়ে যাই।
তুমি জড় সহ উখড়ে নিতে চাও, আমি শেকড় সহ উপড়ে আসতে চাই। তুমিও ভুলিয়ে রাখো, আমিও ভুলে যাই। কখনো আমি টুকি দিলে তুমি টুকুনজিল ডাকো। খুব ঝগড়া হোক, নাক খামচে নেবো ভেবে রেগে গিয়ে সেই জলপাই রঙ মনে পড়ে, কি হিংস্র বলো! ভয়, ভয় আর ভয়! তখন যদি খান সাহেব বলে ডাকি, তুমি জান সাহেবা বলে জড়িয়ে নিলেই আবার নেই! হাওয়া, বেমালুম ভুলে যাই, ভেতরে হাঙরের দাঁত পুষি আমি। বেড়ালের থাবায় নখর গুটাই।
আর ডাকি, সিংহল সমুদ্রের মতো, আয় আয়...
No comments:
Post a Comment