রোজ রোজ আকাশের বুকে গোধূলির রং শৃঙ্গার করে
না... মেঘের আড়ালে অভিমানী বৃষ্টি। কেমন যেন মনখারাপের অন্ধকার নামে। পশ্চিম থেকে
আস্তে আস্তে দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত আকাশে। দিগন্তরেখায় খবর আসে, দিন ফুরোনোর।
শ্যাওলাধরা পুকুর পাড়ের সিঁড়ি... একখানি হাঁসের
পালক.. ছোট্টবেলার স্পর্শমাখা। কিছুদিন আগে এই পুকুরেই মঙ্গলঘট ভরা হয়েছিল বিয়ের
সকালে। কৈশোরের এক্কাদোক্কা চু-কিতকিত-এর পানসি ভাসিয়ে পুকুর জল থেকে আলতারাঙা
সোহাগী পায়ের যাত্রা শুরু করানো হয়েছিল নতুন গন্তব্যে...।
একতলা বাড়িটায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট.. স্পষ্ট
কেরানি বাবার অক্ষমতার নিশান ।মায়ের খুব শখ ছিল, বিয়ের আগে বাড়িটা রং করানোর
।কিন্তু বাবার সাধ্যে কুলোয়নি।
জানলা দিয়ে হালকা আলো দেখা যাচ্ছে না, মায়ের সন্ধ্যা প্রদীপের। গত তিনদিন ধরে বড় বেখেয়ালে এলোমেলো হয়ে আছে মায়ের সাজানো পৃথিবী। বাবা ক্লান্ত শরীরটাকে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছেন বারান্দার পুরোনো ইজিচেয়ারটাতে। আমার তানপুরায় ধুলো জমেছে অনবধানে। টেবিলে বইয়ের স্তূপ,কিছু ব্যর্থ ইন্টারভিউ লেটার। বালিশের পাশে রাখা সাতকাহনের ১৩২ পাতায় দেবদারু পাতা দিয়ে পেজমার্ক করা আছে। বাতাস ভারী হয়ে আছে কান্নাভেজা রজনীগন্ধার গন্ধে ।
জানলা দিয়ে হালকা আলো দেখা যাচ্ছে না, মায়ের সন্ধ্যা প্রদীপের। গত তিনদিন ধরে বড় বেখেয়ালে এলোমেলো হয়ে আছে মায়ের সাজানো পৃথিবী। বাবা ক্লান্ত শরীরটাকে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছেন বারান্দার পুরোনো ইজিচেয়ারটাতে। আমার তানপুরায় ধুলো জমেছে অনবধানে। টেবিলে বইয়ের স্তূপ,কিছু ব্যর্থ ইন্টারভিউ লেটার। বালিশের পাশে রাখা সাতকাহনের ১৩২ পাতায় দেবদারু পাতা দিয়ে পেজমার্ক করা আছে। বাতাস ভারী হয়ে আছে কান্নাভেজা রজনীগন্ধার গন্ধে ।
আধো অন্ধকারে কড়িকাঠ থেকে ঝুলছে লাল বেনারসি
দিয়ে তৈরি ফাঁসের অবশিষ্ট অংশটুকু...
No comments:
Post a Comment