প্রীতি
আজও সবুজ আলোর অন্তরালে
খসে পড়ে
দেহমুগ্ধ স্মৃতিপ্রহর
নকশা জরির ছায়া ভঙ্গির সঙ্গে জড়াজড়ি করে বিহঙ্গ,
নিরীশ্বর।
মন প্রতিমার গুপ্ত সুড়ঙ্গে এসে
বসে থাকে
উন্মত্ত তামসী সুন্দর
শুভময়ী ফিরে গেছে
অযৌন রোদে
আমরা দেখি শৃঙ্গার, হারানোন্তর।
শ্রীমতি
যে কোন দিন শ্রীমতি বহুদূর থেকে
ফিরে এলে গ্রীষ্মনদে রোদের প্রবাহে
ভেসে যাবে ভাঙামন শঙ্খরঙা নথে
দহনের মনোবীণা বাজবে বিরহে।
অধিকার ছেড়ে মুক্ত ধূলোর অন্তরে
তাকে লুফে নিবে মৌন ছায়ার বিহার
দেহ শৈলীর বৈভব ছড়াবে সন্ত্রাস
ভিড়বে শুদ্ধ জাহাজ প্রলুব্ধ বন্দরে।
ফেরো
দেখ বৃক্ষদের ছায়া মুছে দিয়ে আজ
দেয়াল ভরে উঠেছে নীরব জঙ্গলে।
কারো মুখে কথা নেই, সবাই বধির
উলঙ্গ দশার মত ডুবন্ত ফসিলে।
শুধু স্বপ্নের ভিতর মুখর করোটি
সান্দ্র কুশল বাড়ছে আয়ুর মিনারে
অনেক পাতার মত উড়ছে ভ্রুকুটি
স্নিগ্ধ বাতায়নে ফেরো, বকুল স্বভাবে।
নিস্তব্ধ প্রহরে এসো লুকানো গ্রীবায়
ভাষার বাইরে দিয়ো—যা হয়নি বলা
শঠতা ঘেরা বিলাপে ফুঁসছে হাওয়া
জ্বলুক চন্দ্র ঝলকে সব ছলাকলা।
কথা
সব বলা কথা শেষে সন্ধ্যার আকাশে দেখি একা নিশ্চুপ সে রয়েছে দাঁড়িয়ে।
আরো কথা বলার চেয়ে দেখার ছিল, দেখার ছিল কান্না মুছে দেয়া বিকেল।
নির্জনে অনুভবের থরথর আলো এখন তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে পারত, দেখাতে পারত আর কোন স্বপ্ন নেই, শুধু রাত্রি শেষে পড়ে আছে নি:শ্ব দেহ।
উড়ন্ত বৃক্ষের পাতার নিচে
যে গুপ্ত ছায়ার বিহার
ওখানেই মুছে যাওয়া স্মৃতি
হেসে ওঠে তোমারামার
সহজ করেই পাই ওখানে
অযৌন নিঝুম আঁধার
বিভা ছড়ানো দেহের উষ্ণতা
খোঁজেনা উল্কার বিস্তার
শুধু প্রাণের সহজাত ঢেউ
ছুঁয়েছে মেঘের কিনার
প্রণত বশ্যতার ঢাল বেয়ে
নামছে জলের আকার
No comments:
Post a Comment