22 August 2017

রেহেনা মাহমুদ



একটি কবিতা লিখব বলে

একটি কবিতা লিখব বলে,
শব্দমালা খুঁজি নীল আকাশের নীলিমায়
অথচ কলমের আঁচড়ে আছড়ে পড়ে মেঘবতী  বরষা
শব্দমালা খুঁজি যতদুর চোখ যায়
দেখি, ফিঙের পুচ্ছ দোলানো
দেখি,সবুজ বিস্তৃত মাঠ
দেখি ,ধবধবে বকের সারি
তবুও গাঁথা হয় না কোন কাব্য
হাঁস ফাঁস  করি, এলোমেলো  হাতড়ে বেড়াই
যদি পেয়ে যাই সেই কাঙ্ক্ষিত পংক্তিমালা
খুঁজি,খুঁজে যাই-
ভাবি, কবি কেমন করে তাঁর ভাবনাকে ভেঙে শব্দের সোনা ফলায়
মাটিতে পায় সোঁদা গন্ধ
রঙবেরঙ  ফুলে কেমন করে প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়ায়
আকাশের ও কত রঙ-
এই বেদনা বিধুর থমথমে কালো,
এই মেঘমুক্ত  সাদা আকাশ
এই নীল,এই রাঙ্গা গোধূলি
কবি কেমন করে সাজায় আকাশটাকে?
ভাবি, ভেবে যাই-
তবুও হয়ে উঠে না একটি কবিতার
একখানা পংক্তি




সুধাংশুকে মনে পড়ে
শরীরে খুব জ্বর  সুধাংশু
তাপ বেড়েই চলেছে
সমস্ত সকালটা  ভালোই  ছিলাম;একদম দুরস্ত
দুপুরের দিকে কি হলো;সমস্ত আকাশ ছেয়ে গেল কালো মেঘে
আর দিনেদুপুরে পৃথিবী তলিয়ে গেল নিকষ অন্ধকারে
গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজে প্রকম্পিত বসুধার চারিধার
ক্ষনে-ক্ষনে বিজলির আলো ঝলসে দিচ্ছে আঁধারের বুক
তারপর...
তীরের ফলার মত সাঁইসাঁই করে নেমে এল বৃষ্টি

তুমিতো জানো বৃষ্টি  আমার কত প্রিয়!
বৃষ্টি  আমাকে কতটা উতলা করে দেয়!
আমার একলা ঘরের নির্জন কোনে বৃষ্টি এসে ঝড় দিয়ে গেল
আমায় এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে নিদারুণ অসহায় করে দিয়ে গেল
আমি টের পাই ,আমি পুড়ে যাচ্ছি
আমার হৃদপিন্ড অস্বাভাবিক দ্রুততর হচ্ছে
বৃষ্টির ছন্দে ছন্দে আমার তাপ বেড়েই চলে
তখন খুব করে মনে পড়লো তোমায় সুধাংশু

আমার আর বদ্যি বাড়ি যাওয়া হয়না
জ্বরের ঘোরে কেবল বলি
আর একটু ক্ষণ  আমায় জড়িয়ে থাকো সুধাংশু



No comments:

Post a Comment