ঘুমের বাতাবরণে
আজ গাঢ় ঘুম ঘুমিয়েছি...
কতটা স্বস্তির জানি না
তবে অনেকটা অবসাদের;
সকালে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম
চোখ থেকে সরু রেখা বয়ে গেছে
সাদাটে ক্ষয়ে যাওয়া এক চিহ্ন,
মনে পড়লো গত রাতের কথা
কাঁদতে কাঁদতে কখন যেন ঘুমিয়ে
গেছি!
সকালে তারই চিহ্ন এই সরু রেখা...
তুমি কেমন আছ?
ভালো আছ তো!
আমি তোমাকে আর ভাবতে চাই না
বিশ্বাস কর, চাই না...
তবু তুমি চলে আসো, বারবার...
কিছুতেই সরাতে পারি না।
তুমি তো এমন নাছোড়বান্দা ছিলে
না
তবে এখন কেন ওমন করো!
সরতেই চাও না...
আমি এমন চাইনি,
আমি তো ভাবতেই চেয়েছিলাম তোমায়,
সারাক্ষণ...!
ভাবিনি কখনো-
অভিমান নির্লিপ্ত হয়ে যাবে
বিরহ অভ্যস্ত হয়ে যাবে...
তবু হয়ে গেছে
তবু রয়ে গেছ
তবু রয়ে গেছি আমি,
সেই-ই আগের মতন।
ঝর্ণার গান
শরীরের অলিন্দে অলিন্দে ছড়িয়ে
দিতে পারো নি তুমি কৃষ্ণচূড়া। শরীরের
সুখ দিতে পারে না কখনো শরীর যদি তাতে মনন ও প্রেম না থাকে। হতে
পারো তুমি আদরের নিখুঁত কারিগর। তাতে
কিচ্ছু হয় না। মায়াহীন মাতাল কীটের আঁকিবুঁকিতে কখনো
ঝর্ণার গান হয় না।
মন মনকে ছুঁইয়ে আহ্বান জানাতে
হয়। উদ্বেল স্রোতের সাধ্য থাকে না বিপরীতে
ফেরার।
দীর্ঘশ্বাসের আর্তনাদ
তুমি কেমন যেন! বললাম যখন
হয়ে গেলাম; তুমি হওয়ালে,
অথচ বারবার মিনতি করেছিলাম-
আমাকে বদলে যেতে দিও না প্লিজ!
শোনোনি তুমি দীর্ঘশ্বাসের আর্তনাদ।
অতিথি পাখিকে কে মনে রাখে!
জানি আমাকেও ভুলে যাবে তেমন
ভুলে যাবে অগণিত ঢেউয়ের মতন
মিলিয়ে যায় ঘাসের বুকে শিশির যেমন।
উদাসী পথিক হেঁকে বলে-
সময়ের পথে এমনেই চলো বাহে...
আড়ি
বলেছিলাম,
'তোমার নীলাকাশ জুড়ে
আমার মন ঘুড়ি উড়ে...
থমকেছি তোমার পথে
নেবে কি আমায় সাথে?'
বললে-
'একলা চলো',
সে-ই ভালো।
আমি এখন একলা চলি
'আপনার' সাথে কথা বলি
নাই বিষ্ময়, প্রশ্ন, কমা, নাই দাড়ি;
নিজের সাথেই নিজের দিয়েছি আড়ি।
সব অপ্রকাশিত। যেটা
ভালো লাগে নিবেন।
No comments:
Post a Comment