নাগরিক আর্তনাদ
পিছন
ফিরে তাকাই, কুয়াশায় ঢেকে গেছে জনপদ
সূর্যের
নিচে দাঁড়িয়ে বুঝি সকাল হতে অনেক দেরি
প্রত্নতাত্ত্বিক
গবেষণায় আটকে ফেলেছি নিজেকে
ডাইনোসরের
জীবন ব্যবস্থা জানতে গিয়ে ভুলেছি
দিনপঞ্জির
ছুটির হিসাব নিকাশ। হাহাকার চাপা দিই
নিজেকে
সান্ত্বনার সমারোহে, এর বেশি কিছু জানিনা...
মাঠের
চাদর জুড়ে কুয়াশা মুছে যায়। কর্মব্যস্ত
নগরী
নিজেকে আবিষ্কার করে বাঁচার তাগিদে
উদ্দেশ্যহীন
পথ চলা মুখের সমারোহে রয়ে যায়
চাপা কষ্ট, মুখের নতুন কোনো বিজ্ঞাপন নেই...
ভাষা
ভুলে গেলে যা বাকি থাকে তার নাম জীবন!
এসবের
মাঝে ফোঁস করে ওঠা শব্দগুলোকে ভাষার
আদলে
ঢাকতে গেলে জন্ম হয় নাগরিক আর্তনাদের।
মায়াজাল
হারিয়ে যাবার আগে বেজে ওঠে সাইরেন
হুইসিল পেরিয়ে গেছি সময়ের সাথে,
নানাবিধ উপমায় বাঁধা আজ স্বপ্নিল অবয়ব।
কার দিকে তাকালে নামে ঘোর অন্ধকার...
ছবি কথা বলে, বুঝি নি
স্বরলিপি তার
আমার কাছে লিখিত কিছু স্বপ্ন ছিলো
মাত্রাজ্ঞান সীমিত বলে হারিয়ে ফেলেছি
নিজের কাছে রাখা যাবতীয় অক্ষর,
শব্দবিন্যাসের উপর দখল নেই
কেনো পুষেছো চোখে এতো আগুন
লেলিহান শিখায় বাঁধা প্রান্তিক অবয়ব
গণিতের মাপে কষে রেখেছো ছক
যেনো সুযোগ পেলেই খামচে ধরবে
উড্ডীন পথেরও হিসাব রেখে দিই
মায়াজাল নেই, তবু রক্তক্ষরণ
অনেক
সকালের অপেক্ষায় তাকাই সামনে
বেঁধে রাখি নিজেকে সামনের দিকে
হায় অনন্তকাল, তোমারও কী
মায়াজাল!
বেঁধে রেখেছো সময়ের কাছে বন্দী করে...
No comments:
Post a Comment