দৃশ্যপটের কথা
কারো
কথা আর মনে আসে না। তবুও একটি বিকেল
তার ছায়া ধরে হেঁটে যেত প্রায়শ মিলনের গানে
আজ স্মৃতি হারা সমস্ত প্রণালী যখন শুষে নিচ্ছে সব
সে সুর কেবলই বাজে অনন্তদিনের সাজে
তার ছায়া ধরে হেঁটে যেত প্রায়শ মিলনের গানে
আজ স্মৃতি হারা সমস্ত প্রণালী যখন শুষে নিচ্ছে সব
সে সুর কেবলই বাজে অনন্তদিনের সাজে
আমি তাদের লোক নই। নক্ষত্রলোকে ভেঙে পড়া
পাঁচিল টুকরোর মতো আমার যাওয়া আসা কাজ
যেন স্বপ্নে তাদের বহুবার দুঃস্বপ্ন হয়ে হানা দিতে
শিশিরে ভিজিয়ে গেছি উৎসব আলোকের কারুকাজ
পাঁচিল টুকরোর মতো আমার যাওয়া আসা কাজ
যেন স্বপ্নে তাদের বহুবার দুঃস্বপ্ন হয়ে হানা দিতে
শিশিরে ভিজিয়ে গেছি উৎসব আলোকের কারুকাজ
চিত্রিত আঙিনা স্থবির হয়ে গেলে' পরে পুনর্বার -
গিয়েছি যদি শব্দ আয়োজনে, মনে হয়েছে যদি
খুলে দিয়ে আসি জানলা হাওয়া শন শন কারবার
তার কেন্দ্রীয় মানস ফুঁসে উঠে ঝঞ্ঝা অভিপ্রায় ...
গিয়েছি যদি শব্দ আয়োজনে, মনে হয়েছে যদি
খুলে দিয়ে আসি জানলা হাওয়া শন শন কারবার
তার কেন্দ্রীয় মানস ফুঁসে উঠে ঝঞ্ঝা অভিপ্রায় ...
আজ কারো কথা মনে আসে না। মনে আসে যা
টুকরো দৃশ্যপট। বিকেলের শান্ত আলস্য যাত্রা
ঘুমুতে যাওয়া পাহাড়ে পড়া বিস্তৃত জ্যোৎস্না রাত
দূরে এসে যা দেখেছি আমি, বেড়েছে তার ধারাপাত
টুকরো দৃশ্যপট। বিকেলের শান্ত আলস্য যাত্রা
ঘুমুতে যাওয়া পাহাড়ে পড়া বিস্তৃত জ্যোৎস্না রাত
দূরে এসে যা দেখেছি আমি, বেড়েছে তার ধারাপাত
শীতঘুমে
স্বপ্নহীন
প্রেম পদাবলি পড়ে আছে, পড়ে আছে দেখা হবে প্ল্যাকার্ড
এইসব প্রাচীন ইতিহাস, কৃত্তিবাস যুগের কথা
উত্তরাধিকারে পাওয়া নির্জনতা চিঁড়ে গান গেয়ে যায় পাখি -
বেদনা তার ডাকনাম, সূর্যোদয় কেবল জানতো এসব
তারপর অল্প কথা প্রেরিত হতে হতে অস্তগমনের পথে পথে
জয় পরাজয়হীন ভাবনা নিয়ে কতবার যেতে হয়েছে
অন্ধকার সুড়ঙ্গপথে, আর বুদ্ধের ধ্যান ভেঙে অলৌকিক -
কে এসে শুনিয়েছিল আয়না বিষয়ক কথাবলি। এসবও থাক
আপাতত ধরে আসছে হাত, ফুল ছড়ানো আঙুলেরা সব
উড়ে আসছে শীতঘুম, দ্রুতলয়ে কাটতে থাকা স্বপ্ন নিয়ে ।
এইসব প্রাচীন ইতিহাস, কৃত্তিবাস যুগের কথা
উত্তরাধিকারে পাওয়া নির্জনতা চিঁড়ে গান গেয়ে যায় পাখি -
বেদনা তার ডাকনাম, সূর্যোদয় কেবল জানতো এসব
তারপর অল্প কথা প্রেরিত হতে হতে অস্তগমনের পথে পথে
জয় পরাজয়হীন ভাবনা নিয়ে কতবার যেতে হয়েছে
অন্ধকার সুড়ঙ্গপথে, আর বুদ্ধের ধ্যান ভেঙে অলৌকিক -
কে এসে শুনিয়েছিল আয়না বিষয়ক কথাবলি। এসবও থাক
আপাতত ধরে আসছে হাত, ফুল ছড়ানো আঙুলেরা সব
উড়ে আসছে শীতঘুম, দ্রুতলয়ে কাটতে থাকা স্বপ্ন নিয়ে ।
সন্ধ্যা আয়োজন
এই ধরিত্রীফুল আর তার মাঝে
সান্ধ্য আয়োজন
দিনান্তের পালক উড়ে উড়ে যায় ক্লান্তি শেষে
আর তুমি ছায়া ভেঙে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছো -
নিশ্চিহ্ন হলদে পাতার সর্বশেষ নিয়ে অরণ্যে
তোমার সবিস্তার জানে অন্ধকারমুখী হাওয়ারা
জানে আরো যদি থাকে পথ, যদি থাকে জল
ভয়ার্ত শহরের ভেসে বেড়ানো উঠতি কথারা
সম্ভাবনাময় প্রতিভা কুরে খায় পারস্পরিকতা,
তুমি কি আবার ফিরে যাবে নেশাতুর স্মৃতিতে
রক্তমাখা মুখ ভাসে সমগ্র মানচিত্র জুড়ে আর
রাত্রি শুধু রাত্রি নামে সঙ্গীবিহীন পথ-ঘাটে।
দিনান্তের পালক উড়ে উড়ে যায় ক্লান্তি শেষে
আর তুমি ছায়া ভেঙে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছো -
নিশ্চিহ্ন হলদে পাতার সর্বশেষ নিয়ে অরণ্যে
তোমার সবিস্তার জানে অন্ধকারমুখী হাওয়ারা
জানে আরো যদি থাকে পথ, যদি থাকে জল
ভয়ার্ত শহরের ভেসে বেড়ানো উঠতি কথারা
সম্ভাবনাময় প্রতিভা কুরে খায় পারস্পরিকতা,
তুমি কি আবার ফিরে যাবে নেশাতুর স্মৃতিতে
রক্তমাখা মুখ ভাসে সমগ্র মানচিত্র জুড়ে আর
রাত্রি শুধু রাত্রি নামে সঙ্গীবিহীন পথ-ঘাটে।
অভ্যাস থেকে দেখা
মেঘের খাঁজ কেটে কেটে আগুন বর্ণা
এক সমুদ্দুর দিগন্তে দেয় উঁকি।
প্রভাত হয়।
যাপন শুরুর আয়োজন নিয়ে
ব্যতিব্যস্ত হয় স্তব্ধকালের শহর।
যে শহর ভুলে গেছে স্বপ্নরাত্তির
আর স্বপ্ন আয়োজনের কথা,
তার সমস্ত শরীর ধরে ক্রান্তিকালের
ভয়, অমানিশার ঘরবসতি
যেন সে পাশ কাটাতে চায় নিজের
কালঘুম, অলি-ঘুপচির অরাজকতা
যেন সে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চায়
অক্লান্ত বেশে -
ভয় চোখ রাঙানির চেয়ে যাপন আগুনের
আপেক্ষিক শ্রান্তিদেশে।
তুমি কি স্মৃতিভ্রমের কোন এক
কৌতুহলে এই উৎরে যাওয়া ক্ষণে
সমস্ত আজ হারিয়ে গেছে,
সম্ভাবনার পর্যায়ক্রম ব্যথাতুর
বাস্তবতায় গেছে শূন্যে মিশে ।
অভ্যাস, এক ভুল সংযোগ। মননে আদি বিশ্বাস
আড়াল করে -
যা কিছু বাস্তবিক, চোখের পীড়া।
হাওয়ারা কেবলই কেঁপে উঠে। চারিদিকে তার বেনামী ঝড়!
No comments:
Post a Comment