অযাচিত
মাথার ওপর উড়ছে
কেমন
অসুখী একটা বায়ু
কালো মেঘ বলছে আমায়
কমছে তোমার আয়ু
অযাচিত বেদনা, ভাবনার আকাশে
মৌনতা ঢেউ ভাঙে, জানলার
কার্নিশে।
চোখের নীচে ভর করে পাপ
শীতঘুম ভাঙে ক্ষুধার সাপ!
অযাচিত করুণা, চোখের কোণ জুড়ে
শূন্যতা রাত খোঁজে, জলের
পাথারে।
মাথার ওপর উড়ছে
কেমন
অসুখী একটা বায়ু
কালো মেঘ বলছে আমায়
কমছে তোমার আয়ু
বৃষ্টি মানেই অঝোর শ্রাবণ
ঝুমবেদনার রাতনিশীথে কষ্টপাখির
ধূসর শয়ন।
বৃষ্টি মানেই জলের অনল,
পোড়া পাজর আর ভাঙা এ মনের
নিয়ত দহন।
বৃষ্টি মানেই ছেড়াটে মলাট
আকুল হয়ে খণ্ডিত সব স্মৃতিগুলোর
ধূলায় পতন।
বৃষ্টি মানেই চোরঠুকুরির
ভাঙা চৌকাঠ,
ফাগুন জমা রঙপ্রহরের
স্বপন হরণ।
দুঃখ প্রস্থান ও অসুখী ঠোঁট-১
দু:খ গুলো
জীবন খোঁজে, বৃষ্টি এলে!
পিছিয়ে
আসে শহরের উষ্ণতা, ঠোঁটে লেগে থাকে
ব্যর্থ
নিঃশ্বাস,
অসুখ দুপুরের খোঁজে।
খালি
পরে থাকা চেয়ার, ফাঁকা চটপটি দোকান
ফেরি
করে যাচ্ছে, উপত্যকায় চলমান পতন সন্ন্যাস।
যমুনার
যৌবন লুপ্ত হল বলে
কাঁদছে
অসুখী অশ্বত্থ। নিয়তি জানে, আর
বলে
উঠবে না কেউ অযাচিত আহ্লাদে, আসছে বৈশাখে
আকাশকে
পরাবো সিঁদুর।
রোজকার
অসুখী মোমেরা রিটায়ার করেছে
তরল
আলোতে আর হলদে করবেনা পুঁজোর তুলসীদের!
তবুও
চুমুঘোর লেগে আছে ...
বেয়োনেট
বৃষ্টিতে!
লিরিক্যাল
ব্যালাড নিয়ে সে হাজির, প্রজাপতি না এলে
অসুখী
সূর্যোদয় আকুল হয় সূর্যাস্তের অপেক্ষায়।
দুঃখ প্রস্থান ও অসুখী ঠোঁট-২
অনেক অসুখ ঠেলে ক্লান্ত আঙুল, ছুঁয়ে যায়
নীলের আকাশ!
আঙুলগুলো মেঘ
সম্ভাবনার সাদায় ডানা ঝাপটায়
ঈশ্বর হয়ে।
শ্মশানে থাকবে বলে এক ব্রহ্মচারী শকুন
ওদিকে নিজস্ব নরকের গোলকধাঁধায় আটকে
থাকা
অন্ধ জাদুকর, বন্ধ দরজার কাছে
উষ্ণতা ভিক্ষা চেয়ে পায় অজ্ঞতা।
অথচ চোখ মেললেই দেখতে পেত
একটু আগে ধোঁয়াশায় ভেসে গেছে অলৌকিক
ওমের
জাহাজ। সাইরেনে বিদ্রূপ তুলে বলে গেল
নরক মানেই ব্যর্থের আবাস!
পিঁপড়েরা নদীতীর্থে যায় মরণযজ্ঞ এলে!
তেমনি এক নদীর কোলে
নিজেকে সঁপে দিয়ে লুসিফার জানতে চায়
বোতাম তলায় লুকনো ক্ষতটুকু
নিরাময়যোগ্য কি না!
________________________________________
No comments:
Post a Comment