চোখের নীচের কালি
চোখের
নীচে যে কালি তা মূলত রাত
সমস্ত
দিনের ঘরে, দূরগামী ট্রেন
জংশন
স্টেশনে থেমে নামিয়ে দিয়েছে
ব্যাকুলতার
লাগেজ, যাত্রীসহ, আমি
সেই
যাত্রীদের একজন, দু হাতে জোকাল আর
মাথায়
লাগেজ নিয়ে পোড়াবাড়িতে ফিরছি একা
প্রার্থিত
ভোরের জন্য, চাঁদজাগা রাত
আমিও
জপেছি তুষ্টনাম হে জৈমিনি,
বৃষরাশি,
ওগো অন্তরীক্ষের শমন।
পিতার
সমান দৈর্ঘ্য হারিয়েছি জন্মের আগেই
স্থূল
হতে হতে
ফুটবল
হয়েছি খেলোয়াড়ের পায়ে কতকাল
এই
নৃশংস উপত্যকায়
আমিই
দিয়েছি গোল, নাকি আমাকেই গোল দিয়েছে ঘাতক
বুঝতে
না বুঝতেই তুমুল করতালির স্রোত
ভাবনাটুকু
ভাসিয়ে নিয়ে গেল এমন নির্দয় স্টেডিয়ামে
যার
শিকড় সমীপে হিংসা, হারজিত, রক্তঘাম—
নাককাটাতন্ত্রের
কানুন।
চোখের
নীচের কালি ঘিরে
গলাগলি
ভোলা পূর্ব এবং পরবর্তী করমর্দনে ঝুলছে
পায়রার
মৃত্যু।
সাঁকো ও সাঁতার
এই
দরিদ্র কঙ্কাল ঘেঁষে
যদ্দুর
নিমগ্ন দেহভূমি
তার
মধ্যে যে রোদ্দুর সোনারং ঢালে
সেও
নদী আঁকে— চাঁদে পূর্ণিমা হবার।
বাকি
দিন ছলাকলা— আড়ষ্ট আরতি।
বিভ্রান্তির
সন্ধ্যা
খেয়া
জানে নি জলপানের আগে,
সংক্ষেপে
শিখেছে সাঁকো— কোঠা পারাপার।
ডুবে
যাবার মানেই মৃত্যু— যেমন ডুবই হোক,
জলে
ভেসে থাকার খেলাটাই সাঁতার।
___________________________________
___________________________________
No comments:
Post a Comment