সুখ অসুখ
আকাশচুম্বী এক প্রশ্নবোধক এঁকে
দিয়ে তুমি
শুধালে আমায়- ‘ভালো আছো?’
আকাশপাতাল আশ্চর্যবোধক নিয়েই
বললাম- ‘মুখ দেখে তুমি কী বুঝেছ!’
দুঃখকে তুলে দিয়ে সুখের হাতে হাসলে
তুমি-
‘মুখ কি মনের আয়না?’
ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলাম কপালের চুল
আমি-
‘চোখে চোখ রেখে বলো কিছু কি বুঝলে
না?’
এবার তোমার হাসি থেমে হলো ম্রিয়মাণ-
‘কেন এত কষ্ট পুষে রাখো কপালের
ভাঁজে আর বুকে?’
‘তোমার হাতের পোড়া দাগ দিচ্ছে
বলে তুমি নেই সুখে।’
পা
আমি তাকিয়ে ছিলাম ওর দিকে
কাঁচ পেরুনো দৃষ্টি নিয়ে-ওর দিকে
চৌরাস্তার মোড়ে যেখানে প্রচন্ড
যান্ত্রিক ভিড়।
জানালার শার্শিতে তখন একটা চড়ুই
ডাকছিল
একা একা নাচছিল আর ডাকছিল
কারও প্রতীক্ষা বুঝি।
হঠাৎ আকাশচেরা শব্দ-
নক্ষত্র কাঁপানো বিকট শব্দ
চড়ুই পাখিটা আচমকা কেঁপে উঠলো
পাখা ঝাপটে চিৎপটাং কেঁপে উঠলো-
তারপর ভয়ার্ত উড়ে গেল ঐ দিকে
উঁচু দালানের আড়ালে, ঐ দিকে।
আমি দেখলাম চৌরাস্তার ভিড়ে-
অজস্র মানুষের নিদারুণ ভিড়ে
দাউ দাউ জ্বলছে আগুন
আর বনপোড়া হরিণের মতো ছুটছে মানুষ
শহরের সমগ্র মানুষ-
যেন সমুদ্র ঊর্মি অসম্ভব বেগে
আন্দোলিত।
প্রচণ্ড সে বোমার বিস্ফোরণে
ওর একটা পা ছিটকে এল-
উরু বরাবর থেতলে ছিটকে এল
দোতলার জানালার কার্নিশে
আমার ঝুল বারান্দার জানালার কার্নিশে।
ওহ, কী বীভৎস
টপটপে তাজা রক্ত কী বীভৎস-
জানালার কাঁচ বেয়ে ঝরছিল
আমি আর কিছু বলতে পারি না।
______________________
No comments:
Post a Comment