সৎকার
যেহেতু ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বেই লিখিত দিয়েছেন,
মৃত্যুর পরেই মানুষের দীর্ঘ জীবনের সূত্রপাত সেহেতু আমার আজই মরে যাওয়া উচিত!
কেননা যুদ্ধ অথবা কবিতা আর অন্য কিছু নয় বরং এ দু’টো ধ্বংসের সমার্থক।
আমি মহাশূন্য দিয়ে ভবিষ্যৎ দেখার তীব্র বাসনা পোষণ করি,
যেখানে আটকে আছে অনিরুদ্ধ সেই অনন্তকাল অব্দি!
অথচ তীব্র রোদে পুড়ে যাচ্ছে পৃথিবী নগ্ন বুক।
আদৌ এমন হবার কথা ছিলো কী?
অংকটার ভাগ শেষে আজো ভেসে উঠে তোমার মুখ!
কিছুটা অস্পষ্ট কিন্তু সেই আগের মতই পৃথিবীর পবিত্রতম সুন্দর!
জানি আমি;
এই জায়গা থেকে প্রতিটা লগ্নে তোমার কর্ণকুহরে শুধুই অবিশ্বাসের প্রতিধ্বনি শোনা
যায় কিন্তু বিশ্বাস করো,
কালও আমি ব্রোথেলের সদর দরজা থেকে ফেরার পথে বয়ে নিয়ে এসেছি একজোড়া গভীর নীল দুঃখ
অথচ গণিকার কত আফসোস,
আমার মতন নাকি মানুষই হয় না!
আমি মানুষ?
কিন্তু তোমার কন্ঠ থেকে সেই দিন তো আমি অমানুষই শুনলাম!
হ্যাঁ, অমানুষই তো ছিলো সেটা,
অথচ এটাই সহস্র শতাব্দীকাল ধরে চেষ্টা করে চলেছি বুঝানোর;
কিন্তু আমি আজো ওর কাছে ব্যর্থ,
মৃত সত্ত্বার সাথে সঙ্গম নিষিদ্ধ করেছেন স্বয়ং কমরেড
তাদের বরং সৎকার করে দেয়াই উত্তম।
No comments:
Post a Comment