কৃষ্ণপাথর
ক্রমশঃ
জ্বলে ওঠে অন্ধকার!
মৃত্তিকার
মর্মন্তুদ বুকে
জন্ম
নেয় অজস্র অমানিশা,
থেমে
যাওয়া অচল আগামী যেন
কী আশায়
মেলে দেয় সুতোর রুমাল
কলাপী
হাতে,
অরণ্যরেখায়
অতঃপর নেমে আসে একে একে
বীভৎস
মৃততা।
জীবন
আঁটা থাকে মৃত্যুর খামে!
রাত্রির
বুকে পা রেখে
তবু
স্বপ্নে স্বপ্ন ঘষি;
জ্বলে
না জলের জোনাক।
সূর্য!
সে তো
অন্ধকারে ডুবে যাওয়া এক
কৃষ্ণপাথর।
সন্ন্যাসী
আকাশ
স্ফুরিত জলের ঝিলিকে
কেঁপে ওঠে অরুন্ধতী,
গোধূলির গায়ে কেমন পুরোনো ফুলের গন্ধ,
দিগন্তের চিঠি বুঝি খুলে গেছে কবিতার হাতে;
পায়রার পাখায় সাদা সাদা উজ্জ্বল আলেখ্য!
তবু
বকুলের খোঁপা ছুঁয়ে ফেলে সন্ন্যাসী আকাশ!
সময়-
কখনোবা মিষ্টি জোনাকির ঝাঁক;
খেলতে খেলতে হঠাৎ হারিয়ে যায়
কোনো গোপন গুচ্ছগ্রামে!
অতঃপর অজস্র নক্ষত্র-দিন
ফুরিয়ে যাওয়া সৌর-সত্তায়।
________________________
No comments:
Post a Comment