বরুনার সাথে সুবলের প্রেমটা
জমল না। সুবলের লাশটা কাঁধে নিতে নিতে আমার এই কথাটিই প্রথম মনে হল। সুবলের যেই
বোনটার কাঁধে আমরা আমাদের ব্যাগ গছিয়ে দিয়ে, আমি আর শুবল কাঁধে হাত রেখে শহীদ নবী স্কুল থেকে হেটে হেটে ঋষি পাড়ায় ফিরে
আসতাম, সেই বোনটা যেদিন এক মুসলমানের
সাথে ভেগে গেল সেদিন সুবলদের ঘরে কোন বাতি জ্বলেনি। ঋষি পাড়ায় নিতেশ কাকার মুচির
দোকান সেদিন খুলেনি আর শুবল সেদিন ধানকাট্টীর বোতল মুখে নিতে নিতে আনন্দে আত্মহারা
হয়ে বলেছিল, "বুজলি দোস্ত, দিদি মুসলমান হইছে আমি বহুত খুশি, আমাগো মতো অর আর মাইনসের পা ধুইয়া খাইতে হইব না"।
ঋষি পাড়ায় তিন পুরুষের বাস তুলে দিয়ে সুবলের মেসো যখন ইন্ডিয়া চলে গেল তখনও সুবলকে
এত খুশি দেখি নাই। খুশী হবার যথেষ্ট কারন ছিল যদিও, নির্বাচন এলেই আমাদের এই হিন্দু পাড়ায় হামলার আশংকায় সুবলদের চোখে যে ভয়
আমি দেখতাম তা আমাকেও সন্ত্রস্ত করে রাখত রাতদিন। আর তাই যেদিন শুনলাম রঞ্জন কাকা
ইন্ডিয়া চলে গেছে তখন আমি খুব খুশী হয়েছিলাম।
"হরি বোল, বোল হরি" জিগির তুলতে তুলতে আমরা যখন পোস্তগোলা
শ্মশান ঘাটের দিকে এগিয়ে যাই তখন কি সুবলের লাশটা নড়ে চড়ে উঠল? তবে কি শুবল তার হত্যার প্রতিশোধ নিতে আসমান, দোজখ, বেহেশত
ঘুরে ফিরে আসলো? আমি আড় চোখে সুবলের লাশের দিকে
তাকিয়ে নিশ্চিত হবার চেষ্টা করি। শুবল ঘুমায়, নাকি শুবল বুড়িগঙ্গার আঙিনায় এই পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটের জ্বলন্ত চিতার উপর
শুয়ে হাজারও শ্মশানবাসী কে তার মৃত্যুর সাতকাহন শুনিয়ে আবার ফিরতি পথ ধরবে আমাদেরই
সাথে। তারপর হাটতে হাটতে তার দুই পা ভারী হয়ে এলে জুরাইনের রেল লাইনের স্লিপারের
উপর বসে চীৎকার দিয়ে বলবে "বরুনা, আমি আবার ফিরে এসেছি, তোমাকে বলেছিলাম না আগুন আমাকে পোড়াতে পারবে না"। কিংবা বুড়িগঙ্গার
বুকে ছুটে চলা হাজারও জাহাজ, নৌকা
আর রুই, কাতলা, মৃগেলের সাথে সুবলও ছুটে চলবে ফতুল্লা, তারপর নারায়ণগঞ্জ কিংবা মুনশিগঞ্জ কিংবা তারওপরে তালতলার আলুর ক্ষেতগুলো কে
পিছনে ফেলে শুবল গিয়ে উঠবে তারই কোন এক পূর্ব পুরুষের ভিটায়, যেখানে কোন এক তক্ষক হাজারও বছর ধরে পথ চেয়ে আছে সুবলের
ফিরে আসার অপেক্ষায়। কিংবা এমনও হতে পারে শুবল সোজা সদরঘাটের দিকেই গেল, তারপর যেতে যেতে আহসান মঞ্জিলের চূড়ায় বসে ধানকাট্টীর
বোতলে চুমুক দিতে দিতে শুবল নবাব সলিমুল্লার মদের গ্লাসে টুং টাং বাজনা বাজাতে
বাজাতে পেয়ে গেল বুড়িগঙ্গার শেষ সীমানা। কিংবা আমাদের সাথে ফিরতি পথ ধরে আবার ঋষি
পাড়ায় এসে শুবল শুয়ে পড়বে তার খাটিয়ায় আর গভীর রাতে ঋষি পাড়ায় তারই পাশের কোন এক
ঘরে সঙ্গমরত কোন নুতন যুগলের শৃঙ্গার শুনে শুবল বরুনার ছোঁয়া পাবার উত্তেজনায় তার
যৌবনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে। বরুনা কি সুবলকে ছুঁয়েছিল কোনোদিন?
ব্রাহ্মণ বরুনা কি কোনোদিন মুচি সুবলকে নিয়ে ঘর বাঁধার কথা ভেবেছিল? ভেবেছিল কি,শুবল মুচির চোখের জলের দিকে তাকিয়ে কোনোদিন সমুদ্র পাড়ি দেবার কথা, জোয়ার ভাঁটা খেলার কথা? না, শুবল আমাকে এই সব কথা বলেনি
কোনোদিন। বাংলাদেশের সবচাইতে সুশ্রী মুচির সাথে ভগবান উপহাসের খেলাটা খেলেছিল
আমাদের এই ঋষি পাড়ায়। সুবলের গল্প বলার ফাঁকে আমি নিজের কিছু কথা বলি তা নইলে হয়ত
শুবল আর বরুনার প্রেমের এই গল্পটা আধুরা থেকে যাবে।
আমরা জীবিত তিন ভাই এক বোন।
ওহহো, আমরা যে মুসলমান এই কথাটা
বলিনি বোধহয়। আমার যে দুই ভাই ডেমরার টর্নেডোতে মরে গেল তাদের কথা লিখব না এই
গল্পে। শুধু লিখব আমার বাবাটা যেদিন মরে গেল সেদিন আমি যে খুব দুঃখ পেয়েছিলাম তা
দিব্যি দিয়ে বলতে পারব না। আমার বাবাকে আমি আমাদের দাওয়ায় বসে দূরবর্তী কোন এক
হারিয়ে যাওয়া দিনের সাথে কথা বলতে দেখেছি সারাটা জীবন। কথা বলতে বলতে আমার বাবা
হয়ত হারিয়ে যেত আমার সেই দুই ভাইয়ের হাত ধরে কোন এক মেলায় যেখানে প্যাপু বাঁশি
কেনার আবদারে আমার সেই ভাই দুটি বাবার হাত দুটো জড়িয়ে ধরত, আর সেই বাঁশি না কিনে দিতে পারার কষ্টে আমার বাবা হয়ত হাটতে হাটতে চোখের জল
ফেলত। আমার বাবা কি কবরে গিয়ে সুখী হল? নাকি সেখানেও মুনকির আর নাকির কে দেখে বাবার দুই হারিয়ে যাওয়া সন্তানের
কথাই সর্বপ্রথম মনে হয়েছিল। কিম্বা কবরের কালো সাপগুলো বাবার কাছে বাঁশি হয়ে ধরা
দিয়েছিল? আর বাবা দুই হাতে দুই সাপ ধরে
কবরের মুনকির আর নাকির কে বলেছিল " নে, বাজানরা, তোগো লাইগা বাঁশি আনতে বহুত
দেরী কইরা ফালাইলাম, রাস্তায়
কত জ্যাম, মনের মতো বাঁশি কিনন কি সোজা
কথা"।
ছেলে বেলায় সুবলদের বাড়ি গেলে
সুবলের মার হাতের নারিকেলের নাড়ু খেয়ে রাতে মাকে কতবার বলেছি" মা, আমার খিদা নাই"। মা কি সেদিন খুশী হতো? আমাদের বাড়ীতে প্রায় রাতেই কিছু থাকত না। আর তাই হয়তো
আমার মা আমার বাকি ভাই বোনদের কিছু দিতে পেরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলত। ঘরের দুঃখকে
ভুলে থাকতে আমরা দুই দোস্ত সারা দিন একসাথে ঋষি পাড়ায় ঘুরে বেড়াতাম আর বড়লোক হবার স্বপ্ন দেখতাম। যদিও আমরা বড়লোক হতে
পারিনি তবুও আমাদের দোস্তি অটুট ছিল সুবলের মৃত্যু পর্যন্ত।
আমার বয়স যখন নয় তখন আমি শহীদ
নবী স্কুলে ভর্তি হলাম। আমার ছোট ভাই আমান আর আমি। ক্লাসে আমি ছিলাম বুড়া ছাত্র।
সবাই আমাকে নিয়ে আড়ালে হাসি মস্করা করত তবে ভয়ও পেত আমাকে। শুধু একটা ছেলে যেচে
এসে আমার সাথে ভাব জমাতে চাইত। আর সেই হল শুবল যার গল্প আমি আপনাদের সবাইকে বলছি।
আমার ছোট ভাই আমান যে কিনা পরবর্তীতে খুব বড় শ্রমিক নেতা হয়ে আমাদের বাঁচিয়ে ছিল
সে কিন্তু সুবলের সাথে কথা বলতে চাইত না। ক্লাসে কার সাথে মারামারি করা যায় এটা
ছিল তার প্রধান চিন্তা। আর তাই আমার মতো সেও পড়াশুনা শেষ না করে সায়দাবাদ
টার্মিনালে শ্রমিকদের খাতায় নাম লিখিয়ে আমার মাকে খুশী করতে উঠেপড়ে লাগে। ধীরে
ধীরে সময় যায়, আমরা বড় হই খেয়ে না খেয়ে। শুবল
আর আমি ঘুরে বেড়াই ঋষি পাড়ায় আর আমার এই ভাই রাত দিন গরুর মতো খাটে আমাদের উদর
পূর্তির জন্য। শুবল খুব সুন্দর ছিল তো আর তাই আমার খুব ভাল লাগত সুবলের সাথে ঘুরে
বেড়াতে, মেয়েরা আমাদের দিকে তাকাত আর
আমিও এই উসিলায় মেয়েদের দিকে তাকিয়ে নিজের এই অসুন্দর জীবনকে সুন্দরের ছোঁয়া
দিতাম।
ঋষি পাড়ার পিছনে যে দিগন্ত
জোড়া মাঠ, আমরা যাকে "বন্দে"
বলতাম, যেখানে শীতকালে হাজারও ফড়িং আর
প্রজাপতির মেলা বসত সেখানে আমরা হারিয়ে যেতাম রোজ বিকেলে। আমাদের মধ্যে কি কখনও
সমকামিতা ছিল? এই প্রশ্ন আমি নিজেকে করেছি
বহুবার। না, সমকামিতা আমাদের গ্রাস করেনি
কোনদিন। তবে ঋষি পাড়ার বহু হাতে পায়ে বেড়ে ওঠা ছেলেকে দেখতাম সন্ধ্যার পর অন্ধকার
মাঠের হাজারও জোনাকির আলোকে পিছনে ফেলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে ঋষি পাড়ায় ফিরে আসতে। যৌবনে
যখন কোনদিন কোন নারী একবার চোখে চোখ রেখে দিগন্তে হারিয়ে যাবার জন্য তাগিদ দিল না, তখন মনে মনে ভালবেসেছি কত কিছুকে। ভালবেসেছি একপেয়ে
দোয়েলকে, কিংবা ঝিমোতে ঝিমোতে গাছ থেকে
পড়ে যাওয়া কোন বকের সাদা পালককে, তার
সুগন্ধকে, আর ভালবেসেছি সুবলকে। এ এক
অন্য ভালবাসা, যেই ভালবাসায় নেই কোন কাম কিংবা
কোন চাওয়া পাওয়ার দাবী যেখানে জায়গা করতে পারেনি কোনদিন। সুবলকে আমি এই সব
বলেছিলাম বরুনাকে ভালবেসে হারিয়ে যাবার আগে। নাহ, এবার সুবল আর বরুনার প্রেমের কথা কিছু বলি...
দুর্গাপুজা আমাদের এই গরীব
মুচির পাড়ায় নিয়ে আসত খুশী আর আনন্দ। মুসলমানদের ঈদ আসলে আমরা কোনোদিন ঘর থেকে বের
হতাম না। কারন ঈদ আমার বাবা, মা আর
ভাই বোনদের জন্য আসেনি কোনোদিন। আর তাই পূজা আসলে আমি খুব আনন্দ করতাম ঈদ-এর
আনন্দকে পুষিয়ে নিতে। দূর থেকে তাকিয়ে দেখতাম দূর্গা নামক সেই ভাগ্যবতী রমণীকে যার
প্রতি হিংসায় আমার বুক জ্বলে যেত। আর সেই কষ্টকে ঢাকতে আমি বড় হলে দেবতা হবার
স্বপ্ন দেখতাম। সুবলকে একদিন আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা দূর্গা কি ব্রাহ্মণ না মুচি আছিল? সুবল হাসতে হাসতে বলেছিল "মনে হয় ব্রাহ্মণ"। "তাইলে তরা অর
পূজা করস ক্যা, তগো মুচি গো কোন দেবতা
নাই"? শুবল তার অজ্ঞতা ঢাকার জন্য
ধানকাট্টীর বোতলে চুমুক দিতে দিতে উদাসীন হবার ভান করতো।
বরুনার সাথে সুবলের দেখা
হয়েছিল বিরানব্বইয়ের দূর্গা পূজায়, গোপীবাগ
রামকৃষ্ণ মিশনে। আর সেদিন দেবীকে সালাম ঠুকে আমি আর শুবল যখন মিশনের বাইরে এসে
দাঁড়াই ঠিক তখনি আমি বরুনাকে সুবলের দিকে অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকতে দেখেছিলাম।
গোপীবাগের আড়াই লেনের সবচেয়ে বড় যেই বাড়িটা সেই বাড়ির ছোট মেয়ে বরুনা। বরুনা
ভট্টাচার্য। চার ভাই এক বোনের মধ্যে বরুনার জন্য এমন কিছু নেই এই দুনিয়ায় যা তার
ভাইরা তার জন্য রাখেনি। কিন্তু তারপরও বরুনা প্রেমে পড়ল সুবল নামের এক মুচির
ছেলের। কাঁচা হলুদ রং বরুনা যখন সুবলকে চিঠি লিখত সে দিনটিতে আমি সুবলকে ঋষি পাড়ার
অলিতে গলিতে উড়তে দেখতাম। ছেলে বেলায় আমরা যেমন নানা রং ফড়িঙের লেজে সূতা বেঁধে
দিয়ে তার অসহায় উড়াউড়ি দেখতাম ঠিক তেমনি
যৌবনে আমি সুবলের পাশে থেকে তার অসহায়ত্ব দেখতাম।
এ অসহায়ত্ব কি বরুনাকে
ভালবাসার মধ্যে নিহিত ছিল, নাকি
ভয়, যা কিনা আমাদের মত সমাজের নিচু
স্তরের কিছু মানুষকে প্রতিনিয়ত তার সামাজিক অবস্থান মনে করিয়ে দেবার প্রতিজ্ঞায়
আসমান জমিনে ছুটাছুটি করত। কিংবা ভয় আর অসহায়ত্ব পরস্পরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে
থাকে যেমনি কৃষক জড়িয়ে থাকে ফসলের খেতে। ছেলেবেলা থেকেই আমি এক অজানা ভয়ের জীবন
যাপন করতাম। মানুষ, কুকুর, বাস, ট্রাক, রিকশা কিংবা অন্ধকার রাতে রিক্সার নিচে হারিকেনের টিম
টিম আলো সব কিছুর মধ্যে আমি ভয়ের আনাগোনা দেখতাম। আর তাই শুবল যখন বরুনার প্রেমে
পড়ল তখন আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। আর তাই তখন থেকে সুবলকে হারানোর এক অজানা আশঙ্কা
আমাকে রাতদিন কাল চাদরের মত জড়িয়ে রাখত। আমি কেন ভয় পেতাম? আমি কিংবা শুবল, আমাদের
কি কখনও সাহসী হবার কথা ছিল? আমরা
কি পারতাম না সাহসী হতে কিংবা সাহসী হবার ভান করতে। না আমরা কোনটাই পারিনি। আমার
আধা পাগল বাপ আমাকে কোনদিন অভয় দিয়ে বলেনি কোন কথা, বলেনি "ভয় কিয়ের রে বাজান, আমি আছি না"। আর তাই কালাম ড্রাইভার যখন কাঠি লজেন্স দিয়ে আমার হাত
তার লুঙ্গির ভিতর ঢুকিয়ে দিল সেদিন সারারাত জ্বরের ঘোরে আমি চীৎকার দিয়ে আমার মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলেছি "বড় ভয় করে মা,আমার বড় ভয় করে"। আর আমার মা তার জীবিত বড় সন্তানের
মঙ্গল কামনায় জায়নামাজের উপর নিজেকে সঁপে দিয়েছিল সারারাত সেই না দেখা খোদার কাছে
যিনি কিনা আমাদের এই টিন শেডের ঘরের ছায়াও মাড়াননি কোনদিন।
বরুনার মেজো ভাই যেদিন সুবলকে
গুলি করে মারল সেদিন ঋষি পাড়ায় মুচিরা গোপনে সুবলের লাশ পোড়াতেই চেয়েছিল। পুলিশ
এসে যখন সুবলের মাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে মামলা না করার জন্য চাপ দিল
তখনই আমরা ঋষি পাড়ার গরিব মুচিরা বুঝে গিয়েছিলাম আমাদের দুর্ভাগ্যের কথা। আমরা
বুঝলাম ভগবানের পক্ষপাতিত্ব। ভগবান যে মুচি পাড়ায় কখনও আসবে না এই কথাটি আমি
সুবলের মাকে বুঝাতে পারিনি, যদিও
ভগবানের এই পাশ কাটান ভাব নতুন কিছু ছিল না এই মুচি পাড়ার মানুষগুলোর কাছে। এই
যুগে ভগবান থাকে উঁচু তলায়, যেই
সিঁড়ি ভাঙ্গার অধিকার মুচিদের দেয়া হয়নি। তবুও ভগবান বলে কথা। তার সান্নিধ্য পেতে
আমরা এগিয়ে যাই পোস্তগোলা শ্মশানের দিকে, সুবলের লাশকে সাঁজাই কেরোসিন কাঠ দিয়ে, কেরোসিন ঢালি সুবলের সারা গায়ে, সুবলের বাবা আগুন দেয় সুবলের মুখে, শুবল দাউ দাউ করে জ্বলে। সুবলের জ্বলন্ত পোড়া লাশ, পোড়া কাঠ, কেরোসিনের
তীব্র চোখ জ্বালানো গন্ধ আমাদের সবাইকে পিছনে ফেলে আসমানের দিকে ছুটে চলে, পিছনে পড়ে থাকি আমরা ঋষি পাড়ার মুচিরা, ফিরে যাবার অপেক্ষায়।
No comments:
Post a Comment