04 December 2015

হান্নান কল্লোল









প্রেম্প্রসারণের

এক
প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি প্রেয়সীকে
ভালো যে লাগে তবু একে ওকে তাকে
কেন বাসতে পারি না ভালো তাদেরকে
এক জীবনে থাকত যদি শত শত মন
যাকে খুশি দিতে পারতাম যখন তখন


দুই
ভালোবাসি প্রেয়সীর দেহের ঘ্রাণ
ভালোবাসি তার সব  লজ্জাস্থান
ভালোবাসি তবু তমালিকার সুডৌল বুক
                  বিশাখার কামরাঙা মুখ
ভালোবাসি পূর্ণিমার ফর্সা পৃষ্ঠদেশ
              কৃষ্ণার সরু কটিদেশ
ভালোবাসি দিনার চিরল চিরল দাঁত
             হেনার গোল গোল হাত
ভালোবাসি কণিকার ঝংকৃত কথা বলা
              অর্পিতার ছন্দিত পথ চলা
ভালোবাসি সাবিহার মুক্তা ঝরা হাসি
   এমনকি সুলেখার খুসখুসে কাশি
এক জনের মাখনরাঙা ঠোঁট ভালোবাসি
আরেক জনের চকিত চোখ ভালোবাসি
কারো বা টোলপড়া গাল ভালোবাসি
অন্য কারো ভারী নিতম্ব ভালোবাসি



তিন
প্রেয়সীর মাঝে তালাশ করি তাদেরকে
কিংবা তাদের মাঝে আমার প্রেয়সীকে
কল্পিত প্রেয়সীর প্রতিকৃতি থেকে উঠে এসে
ভালোলাগা নারীরা বাস্তবের প্রেয়সীতেই মেশে





মুক্তির মরিচা ও মরীচিকা
আলেয়ার নোনতা জীবনে জোটেনি ঘর-গেরস্থালি।
শিখতে পারেনি সে সমাজসিদ্ধ শয্যাপাতন প্রণালী।
মাতৃভূমির মানচিত্র বিছিয়ে সে রয়েছে শুয়ে-
যখন যে চায় তখন তারই রতিরমণী হয়ে।
আমাদের প্রধান মুক্তির রোদনেভা গ্রহণ প্রহরে
বরণ করে নিলো তাকে পৃথিবীর প্রথম আলো।
মানবীয় সুবিধাবঞ্চিত জীবনে তার
দ্রুতলয়ে ঘনিয়ে এলো আদিম আঁধার।
কেননা সে যে এক পিতৃপরিচয় হীনা!

আলেয়ার মা’র ক্যাম্পে ক্যাম্পে কাটলো যুদ্ধের ন’টি মাস ।
জানলো না সে- কার শ্বেতরক্তে নিষিক্ত হলো গর্ভস্থ  ভ্রুণ তার।
সেই পবিত্র পতিতা আজও যোজন বিয়োজনের খেলায়
পরাধীনতার ঝুলি হাতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়ায়।
স্বাধীনতা তথা মুক্তি মুছতে পারছে না তার নিন্দিত জীবনের জলছাপ;
নন্দিত করতে তাকে দিতেও চাচ্ছে না ‘বীর’-যুক্ত বিশেষ কোনো খেতাব।
আলেয়াও এবার জন্মরোধ থামিয়ে হতে চলেছে বিজয়ের এক বিষমাতা।
পিতার শূন্যতায় গোপনে সে সেঁটে দিতে চায় জাতির জনকের ছায়াহীন কায়া-
প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হলে নিপাতনে প্রতিস্থাপন করে নেবে রাজাকার প্রধানের প্রচ্ছায়া! 









No comments:

Post a Comment