01 December 2015

রিকি দাশ





কুয়াশার চাদরে জবুথবু শিউলির উচ্ছ্বাসিত উঠোনস্নিগ্ধ বিস্ফোরণ শুভ্র সৌন্দর্যের গ্যালারী এঁকে যায় চোখেযেন মিষ্টি রোদ,দূর্বাঘাস,বিন্দু জল,ধানসিঁড়ির ক্ষেত একেকটি অ্যাপ্লিকেশন হয়ে আঁচল ছড়িয়ে আছেচড়ুই পাখির মতন কুয়াশা উড়ে উড়ে স্নানার্থীনি করে তোলে ঠোঁটজমতে থাকে বরফের মতন ঘোরমাঝে মাঝে দেয়াল টপকে রোদ এসে ব্যবচ্ছেদ করে দিয়ে যায় আমার ঘররথের চাকার মতন দুলতে থাকি এপাশ ওপাশভুলে বসি সব কারফিউ, ফরমালিটির আস্তাকুঁড়ে স্বভাব,ফুটপাত,জানালার বাইরে হা করে থাকা সূর্য,যে কিনা সমস্ত দিন গিলে খায়মুহূর্তেই লুফে নেয় বিকেল সুখশীতের কোলে গোধূলি বিলিয়ে নিয়ে আসে ঝাউবনের তরুণ আধার
মাঝে মাঝে ভিজে যায় সমুদ্র চৌকাটেশীতের সেলুনে সমূহ রাত ঘুঙুর পায়ে আমি দেখি মাতাল মেঘ গায়ে মেখে দু-হাত টইটুম্বর পূর্ণিমাআলোকরশ্মি ছিটকে আসে করিডোরে,এক এক চোখে একটি আকাশ যেন সহস্র ভাগে বিভক্তস্রোতের শীত লতায় ফিনকি দিয়ে উঠে মানুষের হলুদ খামের স্বপ্নসহস্র নিঃশ্বাস,মাছরাঙা সব সুখ,বালিশের নিচে পড়ে থাকা যতিচিহ্ন,এক একটি দিনের মৃত্যুদণ্ড গল্প নিয়ে সটান করে আবছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে চাঁদমাঝে মাঝে রাতের বুকে গনগনে মোমের ফুলকি এসে পূর্ণচ্ছেদ করে যায় আমার কবিতাচোখের রেটিনা ঘেঁষে জন্ম নেয় আঁধারের স্থাপত্যকলা। ভালোমানুষি ট্রাডিশন ভুলে হয়ে উঠি প্রাণপণে আমি।লিখে রাখি শীতরাতের উপকথা।আমার মাঝে বয়ে যাওয়া বিষুবরেখায় চন্দ্রিমার ঘোরকথা। নিশিরঙে রাঙিয়ে থাকা ফুটপাত, টিনচালের ঘর,শহুরে বারান্দা,গাড়ির ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ,ইলেকট্রিকের দোলনায় বসে অজস্র বাতির আলোকছটা কিভাবে তীব্র আঁধার মলিন করে মানুষ জাগিয়ে রাখে!
মায়াবতী ফড়িঙের জোনাকি প্রেম। শব্দমইয়ে সাজিয়ে তুলি জলপাই রঙা পৃষ্ঠার চুমু,এঘর থেকে ওঘরে।লিখে রাখি আত্মশুদ্ধির নীলনকশায় জুতোর ছাপ চলে যাওয়া এক বলয় থেকে অন্য বলয়ে।ভেসে আসা অরগ্যানের সুরে ক্ষয়ে যাওয়া শীতরাতের অটোগ্রাফের গল্প...

No comments:

Post a Comment