ক্ষুধার্ত কবির বিলুপ্ত কবিতা
আমি ইদানিং ক্ষুধার তাড়নায়
পুরোনো পত্রিকার পাতাগুলো আস্ত গিলে ফেলি
সেদিন দেখেছিলাম সেই পুরোনো কাগজের পাতায়
ছিল এক মনো মুগ্ধকর চাঁদনী রাতের লেখা
এক ক্ষুধার্ত কবির বিলুপ্ত কবিতা।
এভাবেই শেষ করে দিচ্ছি আজ নিজেকে আমি
সুকান্তের পূর্ণিমা রাতের ক্ষুধার রাজ্যে ঝলসানো রুটি
প্রতিভাকে আহার হিসেবে বিলিয়ে দিয়েছি কীটপতঙ্গের নিকট
বিলুপ্তির বিধ্বস্ত পথে হেটে চলেছি আস্তে আস্তে
পিছন থেকে কেউ ছিঁড়ে নিচ্ছে শরীরের এক একটি অংশ!
এই সেই নগরী
এই সেই নগরীর পথ ধরে হেটে যেত কবি
কাধে ঝুলানো ছিল পাটের ব্যাগ,
চোখে সান গ্লাস,একটা ফ্রেম ছিল খানিকটা ভাঙা
মাথায় অগোছালো চুল,কতকাল পড়েনি চিরুনির আঁচড়।
এই সেই নগরীর পাশে বয়ে যাওয়া নদী মহানন্দা
পাশে চা বাগান বেষ্টিত ভারতের তারকাটা বেড়া
কবি বসে যেত সময় কাটাতে সূর্য ডোবা ঘন সন্ধ্যায়
জোনাকির আলোর অপেক্ষায় সন্ধ্যা কাটিয়ে দিত কবি।
এই সেই নগরীর পাশ ঘেরা সবুজ জমিন
রাস্তার দু’ধার ঘিরে বৃক্ষের শোভা,
কবির নায়িকা নীল শাড়িটা পড়ে হেটে যেত এই সেই পথে
কবির পান্ডুলিপির এক সোনালি পৃষ্ঠায় ছবিটা পিনআপ ছিল।
এই সেই নগরীর অনতি দূরে শিশু গাছ,
এখানে বসে গল্পে কেটে যেত সময় কবির।
সেইসব সময় গেঁথে আছে কবির মানস স্মৃতিপটে
কফি হাউজের আড্ডাটা মান্না দে’র সাথে কবি সূর করে আজও।
স্মৃতিরা ভেসে বেড়ায় ভাসমান মেঘের মতো
সময় চলে যায় নদী বয়ে যায় পৃথিবীর বয়স পেরিয়ে কত
কবি জানেনা আজ একুশ শতাব্দীতে এসে মানুষ পাল্টিয়েছে কত
এই সেই নগরীতে তখন যা ছিল আজ তা নেই,
আজ যা আছে কাল তা থাকবে না,
প্রতিনিয়তই ঘুরে দাঁড়াবে পৃথিবী নতুনত্বের প্রযুক্তির ঝংকারে।
No comments:
Post a Comment