01 December 2015

নাজনীন খলিল




আয়না-
আয়নাই তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কিভাবে ব্যাবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়োনা।ঠকে যাবে। তোমার বুঝতে হবে, নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে।
বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির চোখের ভেতরে
কানামাছি খেলায় তোমার চোখে বাঁধা রূমালটা প্রজাপতি হয়ে গেলে, হারজিতের কথা মনে থাকেনা। সামনে তখন কেবল কতগুলো রং অথবা মিলিত বর্ণচ্ছটার রংধনু রংগুলো আলাদা করে ফেলোতুমি তো জানো না কোনটা আসল রঙ। খুঁজে নাও।
কিন্তু মুছে ফেলোনা ডানার পরাগ। সব রংয়ের উৎস তো এটাই।
আয়নার কাচে যখন বিম্বিত হবে রংগুলো তখন দেখবে সব বর্ণ সমন্বয়েই ফোটে ওঠে-শুভ্র শূন্যতা।

No comments:

Post a Comment