ঘর বাঁধার গান
আমি বিরহের পায়ের শব্দ শুনি
জোর করে বলি -
ফিরে এসো না চাকা আর
আর এসো না ফিরে!
ততক্ষণে মেঘ নিজেকে ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে
আমার পারমিশন না নিয়েই;
বুকের টোলে চিকচিক পদ্মপাতার
মোমজড়ানো মুক্তো
কিছু দিন পরে সকাল হলে আমি বলি
অনেক তো হল, এবার রেহাই দাও..
খোয়াব ছুটে যায় এক্কা দোক্কা খেলার!
চরমের চোখআয়নায় নিজের
মিসিং ডায়েরি দেখি
ছোবল মারে
শালিক গান গায় সন্ধ্যা হলে
ঘরে ফেরার পথে -
আমি অল্প চেয়ে ভুলে যাই চাকার কথা
বিচ্ছেদে ঘর বানাই ।
হায়, বিচ্ছেদের ঘর বানাই!
দেখেছিলাম বাবুই পাখিটিরে
স্থবির আকাশ-
রাতচরা পাখি ভাবে নদীর বুকে
অপেক্ষা করছে তার প্রিয়তমা
সমস্ত শরীর ঝরাতে চেয়ে!
সমস্ত উপত্যকা ভরা আছে প্রেমে
চরম ঘামের অবকাশে
খেজুর গুড়ের গন্ধ ভেসে আসে
সন্ধ্যার সকালে গোলাপি কমলা হাত ধরাধরি করে
ডেকে আনে একলা হেমন্তকে
স্থবির আকাশ
রাতচরা পাখি ভাবে বৃষ্টি ভিজছে সে
বৃষ্টিকে যে বড়োই ভালোবাসে
সোঁদা গন্ধ দিয়ে বানাতে চায় ঘর
বাবুই বাবুই!
ছানা ফোটাতে চায়
তলপেটে চেপে বসা তা দিয়ে
দুটো ডুবো পাহাড়ের সঙ্গমস্থলে ওম নিতে ছুটে যায়
গোলাপি মারা যায় কালোর পায়ের ভারে
বাবুই খুব খুশী
বাবুই শিস দেয়
মাথা দোলায়
রাত চরাচরে হেমন্ত নেমে আসে
তারপরে শুরু হল এক অকাল বসন্তের গান
রাত্রি সাজে ভিজে থাকা শহরের সেই গর্ভদান
No comments:
Post a Comment