শ্রীযুক্ত নীলমণি হালদার কোমায় চলে যাচ্ছেন
শ্রী শ্রী নীলমণি হালদার
কোমায় চলে যাচ্ছেন
ধীরে ধীরে... ক্রমাগত...
শ্রী শ্রী নীলমণি হালদার
।
সমগ্র পরিবার তার
চেয়ে আছে তার দিকে
ব্যগ্রতা চোখে
মুখে...কিংকর্তব্যবিমূঢ়...
এ কেমন গভীর নিদ্রা
কতটা প্রলম্বিত মহাযাত্রা
ধীরে ধীরে নীলমণি হালদার
হয়ে যাচ্ছেন অচেতন,
অবশ-নিথর
সূর্য পূবেই উঠবে, ডুববে
পশ্চিমে
কতশত চাঁদ ক্ষয়ে যাবে
নয়া চাঁদ
আধা চাঁদ
গোটা চাঁদ
কতবার উদয়াস্ত হবে রাতের
আকাশে
চকচকে পাঁচ টাকার কয়েনের
মতো রূপার চাঁদ যেন...
নীলমণি হালদার জেগে উঠবেন
কবে
তার পরিবার কি ততকাল
শিয়রের পাশে এমন দাঁড়িয়ে রবে
উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠিত চাহনি
নিয়ে
শ্রীযুক্ত নীলমণির দেহটা
জমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে
হার্টবিট নেমে যাচ্ছে
ক্রমশ...
চেতনা চলে যাচ্ছে অচেনা
জগতে
শ্রীযুক্ত নীলমণি হালদার
কোমায় চলে যাচ্ছেন
ধীরে ধীরে...ক্রমাগত ।
সদ্য সাবালক
ঝট্
করে শোয়া থেকে উঠে বসে বিছানায়
ঘর্মাক্ত
বালক,
ডান
হাত চলে যায় টেবিল ল্যাম্পের সুইচে
আর
যন্ত্রচালিতের মতো বাম হাত যায়
দুই
ঊরুর ফাঁকে ।
হায়
! কী হল আজ এই মধ্যরাতে
দুশ্চিন্তায়
কিছুক্ষণ গুম মেরে থাকে
চিন্তাক্লিষ্ট
বালক সে যার
নাকের
নিচে জেগেছে সরু গোঁফের রেখা
আলনা
থেকে লুঙ্গি গামছা কাঁধে নিয়ে
পা
টিপে টিপে দরজা খোলে লজ্জিত বালক
কেঁয়াচ
করে চিৎকার করে
সবাইকে
জাগিয়ে দিতে চায় ভারী দরজা
বাথরুমে
বালতিতে পানি পড়ার সুতীব্র আওয়াজ রোধ করতে
ট্যাপের
মুখের কাছে দু হাতের তালু দিয়ে
আঁজলা
তৈরি করে পানির গতি হ্রাস করে
সদ্য
সাবালক
যেনবা
পৃথিবী ছাপিয়ে শোনা যায় গোসলের আওয়াজ
লজ্জা
আর ভয়ে বিরতিহীন মরে যায়
সদ্য
সাবালক
কেউ
যদি চলে আসে বাথরুমে এখন
সকালে
ভেজা লুঙ্গি শুকাতে দেওয়া দেখে
ভাবী
যদি মুখ টিপে হেসে
আড়
চোখে তাকায় বড় ভাইয়ের দিকে
তখন
...তখন...?
ভাবতে
গিয়ে মাটিতে মিশে যায়
ভীত
চিন্তিত এবং লজ্জিত
অথবা
এই মধ্যরাতে গোপনে স্নানরত
সদ্য
সাবালক ।
No comments:
Post a Comment