দুর্বিসহ মড়কে অহর্নিশ
আমার রূপসী বাংলা কাটে সাঁতার অহরহ
দুর্বিসহ
কালের বিপন্ন সরোবরে।
নিরাশার ধূ ধূ বালুচরে
দারুণ রক্তক্ষরণ চলে অহর্নিশ
সবুজের গায়ে লাগে বহ্নিদগ্ধ বিষ
জননীর বুকে ছোবল আঁকে ভয়াল নখারো দানব।
ভাগ্যচ্যুত বাঙালি
অঙ্গে ভিখেরী-বেশ, আজ বড়ো কাঙালি
যেন গলায় শেকলবাঁধা কুকুর
স্বত্বাধীকারী যার ভিনদেশি মজুর।
ব্যথার তরঙ্গ দোলে
নিবিড় নদীর কাশফুলে
কৃষাণের গালে হাত-ক্ষেতের ফসল চেটে খায় অরাজকতা।
কবিতার অন্তরে বাজে অজস্র বীণ
প্রাণহীন।
কোকিলের সুমিষ্ট স্বর
কর্কশ বায়সের সুর সম ভাস্বর।
মড়ক আজ হরিৎ ঘাসে-
রক্তের আলপনা আঁকা চারপাশে
নেশাচুর মাতালের মতো আমাদের চোখ বুজে বেঁচে থাকা।
কোকিল শিমুল ফাগুন
কোকিল তবে ডাকলো নাকি!
শিমুল তবে ফুটলো
নাকি!
ফাগুন তবে
আসলো নাকি!
ও কোকিল তুই কোথায় পেলি-
এমন মধুর সুর, এমন মধুর ভাষা?
তোর কণ্ঠ বুঝি করলো মধুর আমার বাংলা ভাষা!
কোকিল তবে ডাকলো নাকি!
শিমুল তবে ফুটলো
নাকি!
ফাগুন তবে
আসলো নাকি!
ও শিমুল তুই কোথায় পেলি-
এমন ভীষণ রূপ, এমন আবির মাখা?
তোর গায়ে কি আমার ভাইয়ের রক্ত ছাকাছাকা!
কোকিল তবে ডাকলো নাকি!
শিমুল তবে ফুটলো
নাকি!
ফাগুন তবে
আসলো নাকি!
ও ফাগুন তুই কোথায় পেলি-
এমন উষ্ণ বায়ু, এমন দখিন হাওয়া?
ভাষা শহীদের মায়ের বুকের নিঃশ্বাসে ছাওয়া!
__________________
No comments:
Post a Comment