কদম ফোটে
আমি না
পারতে তোর শরণ লই, খুব গোপনে
ও আমার
ফুসমন্তর গো
ও আমার
অষ্টমীর পুতলা
যখন
আষাইঢ়া ঝিলে বিহান নামে
হাইঞ্জা
উজান যায় হাওড়ের জলে
মনটা
তখন আকুলি-বিকুলি করে, খুব গোপনে
ও আমার
দোষের দুশমন
আমি না
পারতে তোর শরণ লই গো...
কাঁচা
ধানগুলাইন ঐ মাঠে শুকাই
অবুঝ
গরুটারে লয়ে ধোয়াই ঘাটে
শাওন
মাইস্যা কদম ফোটে মনে তখন,
দুই
চোখে জমে কংস গাঙের জল, খুব গোপনে
ও আমার
কপট পড়শী গো
ও আমার
পাষাণ পরাইন্যা
আমি না
পারতে তোর শরণ লই
ভাঙা ভাঙা মুহূর্ত
শিউলিশিশির
জলরঙে সব আঁকে
শ্যাওলাসবুজ
ছাদজুড়ে হুল্লোড়ে
কার
জানালায় মিষ্টি রোদের ছল
কে বা
ভীষণ স্বপ্ন আঁটে দোরে!
মেঘের
ঠোঁটে সলমাপসর আলোক
রুপোর
জলেই ভিজছে শহরতলি
কাচের
গ্লাসে নোনতা জলের ঢেউ
বুকের
ভেতর ইমলিপাতার গলি।
সিঁদুরমনে
পুড়ছে এমন কে আর
ভুল
খেয়ালে আজও রাধার মতো!
শালতিসবুজ
ভাসলো অবুঝ ঘাটে
শান্তি
পাবে ফুটবে কদম যতো।
নান্দনিক জীবন
বেদনার
প্যারাডক্সে দেহমন
নিশিদিন
রয় দোদুল্যমান-
ধূম্রজালের
নেশায় জড়িয়ে
আপনি, তুমি অথবা আমি
কখনও
গাণিতিক জীবন,
কখনও
পরলৌকিক নিগূঢ় প্রত্যাশার ক্যালকুলাস
আবার
কখনো বা
শব্দের
শৈল্পিক বিষাদ খুঁজি, আর
উতলা মন
বোঝে না কিছুতেই-
সুশৃঙ্খল
ও সুন্দর জীবনাচারই মূলত
মৌলিক
সংখ্যার নান্দনিকতায়
স্বর্গের
নিকটস্থ যমুনার প্রবাহ,
চিরনতুন
শিল্পোত্তীর্ণ ধ্রুপদী কবিতা।
No comments:
Post a Comment