অদৃশ্য স্রোত
শাড়ির আঁচলে লুকিয়ে রেখেছি প্রশমিত শামুক—মায়া,
নবজাতকের
কান্নার মতন ছিটকে আসা ভ্রুণ হাতে;
একবৃক্ষ
আষাঢ়ী নকশার বেণী খুলে খুলে হতে চেয়েছিলাম গৃহত্যাগী!
পাছে
জড়িয়ে পড়ি দু-হাত ভর্তি তেজস্ক্রিয় চুম্বনে—
তোমার
চোখের গভীরে উষ্ণ নিষিদ্ধ যে নদী;
তার
শিরায় জু্ঁইফুলের সঙ্গম ঢেলে সুধার মতন পান করেছি কবিতা!
পৃথিবীর
হরিৎ পেন্সিলে ভেসে উঠে এক একটি জিয়নকাঠি—
বৈকালিক
দেয়ালঘরে তুলসীতলায় ধুপ—ধুনোর
খেয়ালে;
ঠাঙিয়েছি অস্তিত্বের মোহমুগ্ধ চৌকাঠ!
হারিয়েছি,অতলে
গিয়েছি,দেখেছি; দুপুরের অসুখে বুঁদ হয়ে থাকা স্তব্ধতা—
হেমন্ত
আকাশের কোন গোধূলি গন্ধে গৃহত্যাগী হব বলে বয়ে যাচ্ছি মানবীয় স্রোতে...!
হাতের সিঁথি
হাতের পাঁচ আঙুল জুড়ে অট্টালিকা। বুনো
পাখির মতন উড়তে আমি শিখিনি,দেখেছি নখের ডগায় লেপে দেয়া আকাশ রঙ! সাদা পালকের রেখায়
রেখায় ফুটে উঠে নদীর কলকাকলি,গুনগুনিয়ে উঠে সিঁথি ফেঁড়ে দূর—বহুদূরের
শাঁইশাঁই সঙ্গীত। এস্ট্রোলজিতে এই সুর তোমার ভাগ্য নির্ধারক!
দশদিগন্তের কাঁটাছেড়া মিলিয়ে দাঁড়িয়ে
পড়ি এক একটা টার্মিনালে। কখনো ছোঁয়াছুঁয়ি বাঁচিয়ে রাহুগ্রস্থ গোলাপ নিয়ে হেঁটে চলি
আগামী শতকে।কখনো হয়ে উঠি শঙ্খচিল, মিলেমিশে হাতে হাত রেখে ঠিক পেরিয়ে যাব পাথরে
আটকে থাকা সমাজ!
কখনো চিৎকার ছুঁড়ে দিই শ্বেতপদ্ম জুড়ে
থাকা ঘাসফুলে; এখানে ভাগ্য নেই,আছে জলস্রোতে বয়ে যেতে পারার অমরতা!
অতঃপর জীবন
চাবির
গোঁছায় প্রলুব্ধ সংসার,
আলমারিতে
গুছিয়ে রাখি খানিকটা;
খানিকটা
দিই তোমাকে!
তুমি
বাজারে যাও ব্যাগ ভরতি নিয়ে আসো সারাদিনের শূন্য আকাশ।
আমি
মৌমাছির রাশিফলে করে চলি সবজির চাষবাস!
পর্দার
ধুলোয় ঝুলিয়ে রাখি কোয়ান্টাম,
সেখানে
হেঁটে খেলে বেড়ায় মাকড়শার দল!
কুঁড়ে
খায়
জীবনের নামে নিজের পাকস্থলী,
তবুও
এ-ঘর ও-ঘরে চলে তাদের গোয়েন্দাগিরি।
ঝিঙেফুল
তোমার প্রিয়,
সাজিয়ে
দিই আয়রন করা শার্টের ফোঁড়ে;
তুমি
হেসে দু—চোখে
আগলে নাও উড়ে উড়ে হারিয়ে যাওয়া জলফড়িং।
তুমি
বারবার বল এগুলো সঞ্চয়,
হিসেব
কষে পূর্ণিমা নামলে ব্যাংকে জমিয়ে রাখবো।
আমিও
মুগ্ধ চোখে শুনি পবিত্র মাধ্যকর্ষণ।
এভাবে
ক্যাসেটের ফিতায় জমতে থাকে সন্ধ্যার সঙ্গীত,
কতোবার
বলি;
অফিসের
ঝোলায় রেখে এসো সব জ্যামিতিক ত্রুটি।
পকেট ভরতি বৃষ্টি যখন খোঁপায় মেলে দাও চলে যাই শিকড়ের গন্ধে।
আলনায়
ভাঁজ করে রাখি পরস্পরের এস্ট্রোলজি,
নিপুণ
প্রেমের আলট্রাসনিক রিদম্;
বাজতে
থাকুক মহাকাশের কোণে কোণে।
চাবির
গোঁছায় প্রলুব্ধ সংসার,
আলমারিতে
গুছিয়ে রাখি খানিকটা; খানিকটা দিই তোমাকে!
তুমি
দু-চোখে নিয়ে আসো বিস্তৃত প্রতিবিম্বের আয়না...!
No comments:
Post a Comment