জলভ্রম
মহাঅন্ধকার বলে- শোও, ঘুমিয়ে পড়ো। তাকে দিই নেশালু অকর্ষিত ঘুম আর জলের পোশাক পরে হাঁটি শব্দের ঘোরে। জলপরীরা দিয়ে গেছে পদ্মের টইটুম্বুর দীঘি। পায়ের তলায় এক চিমটি পোষ-না-মানা মাটি। ওই তো বিষাদলীন জংশন শুয়ে দুটি রেলপথের মিলন স্টেশনে। কী ভীষণ ফলেছে আখ ঈশ্বরের মিষ্টি মিষ্টি মাঠে। শরের মতো গাছগুলো আকাশ বরাবর যায়। নিঘুম করবী পাতা, সুরেলা নোটেশান ফিরে আসে আরো এক মর্মাহত জোছনা নিয়ে। খুনসুটির ড্যান্ডেলায়ন ফুটছে, আদরের ধোঁয়াফুল। তাকিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার বোতাম খুলে দিলে ধুলো ঝড়ে উড়ে যায় নকল পোশাক। একটু দূরে বিশুদ্ধ বুনো হাওয়া।
শান্ত থেকো। কে না জানে? একটু পরই আমাদের গভীর জলাশয়।
আকাশহীনা
এক ফালি আকাশে অভ্যস্ত যে, অকারণে তাকে বিশালতা ডাকে- তুই রে মেয়ে, আসবি কবে? সে জাদুর পাটি মেলে ফানুস ওড়ায়। অনেক উঁচুতে হৃদয় কাঁপানো কিছু হাওয়ায় বেলুন হারায় দূর পাহাড়ে। ওপরে যত মাধবীলতা, সর্বস্ব হারানো পাগল হাওয়া, নিমগ্ন সমুদ্রতা…
নীচে পড়ে থাকে লিলিপুট মেয়ে। ক্রমশ চৌকো আকাশ, বাক্সবন্দী জাদুর পাটি। আলো নেভা পাহাড়ের হাতছানি, ম্যাপল সিরাপ ঠোঁটে আলোর আশ্বাস। আকাশহীনা আজও বেঁচে থাকে, ভেতরে আকাশ এলে একদিন মরে যাবে বলে।
No comments:
Post a Comment