01 September 2016

ইশরাত তানিয়া







জলভ্রম
মহাঅন্ধকার বলে- শোওঘুমিয়ে পড়ো। তাকে দিই নেশালু অকর্ষিত ঘুম আর জলের পোশাক পরে হাঁটি শব্দের ঘোরে। জলপরীরা দিয়ে গেছে পদ্মের টইটুম্বুর দীঘি। পায়ের তলায় এক চিমটি পোষ-না-মানা মাটি। ওই তো বিষাদলীন জংশন শুয়ে দুটি রেলপথের মিলন স্টেশনে।  কী ভীষণ ফলেছে আখ ঈশ্বরের মিষ্টি মিষ্টি মাঠে। শরের মতো গাছগুলো আকাশ বরাবর যায়। নিঘুম করবী পাতাসুরেলা নোটেশান ফিরে আসে আরো এক মর্মাহত জোছনা নিয়ে। খুনসুটির ড্যান্ডেলায়ন ফুটছেআদরের ধোঁয়াফুল। তাকিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার বোতাম খুলে দিলে ধুলো ঝড়ে উড়ে যায় নকল পোশাক। একটু দূরে বিশুদ্ধ বুনো হাওয়া।  
শান্ত থেকো। কে না জানেএকটু পরই আমাদের গভীর জলাশয়। 


আকাশহীনা
এক ফালি আকাশে অভ্যস্ত যেঅকারণে তাকে বিশালতা ডাকে-  তুই রে মেয়েআসবি কবে?   সে জাদুর পাটি মেলে ফানুস ওড়ায়। অনেক উঁচুতে হৃদয় কাঁপানো কিছু হাওয়ায় বেলুন হারায় দূর পাহাড়ে। ওপরে যত মাধবীলতাসর্বস্ব হারানো পাগল হাওয়ানিমগ্ন সমুদ্রতা
নীচে পড়ে থাকে লিলিপুট মেয়ে। ক্রমশ চৌকো আকাশবাক্সবন্দী জাদুর পাটি। আলো নেভা পাহাড়ের  হাতছানিম্যাপল সিরাপ ঠোঁটে আলোর আশ্বাস। আকাশহীনা আজও বেঁচে থাকেভেতরে আকাশ এলে একদিন মরে যাবে বলে।



No comments:

Post a Comment