সুবর্ণরেখার ধার ঘেঁষে
যতোবার বাড়িয়েছি হাত, কেঁপেছো
শঙ্কায়। আলেয়ার আশপাশে ঠিকানা
ভেবেছ বলে অহং এর রঙ ধুয়ে
মুছে যায়, তবু ছায়া ও আমির জন্য
তোমার রোদ্দুরে ডুবে ডুবে থাকি। রোজ
চলে যাবার আগে–ঠিক কিশোরী
সন্ধ্যাকালে
তুমি
মালতীর মত হাসতেই রোদ চেখে চেখে
ক্লান্ত
আমাদের মাঝামাঝি ঢেউগুলোর ভিতর
যাবতীয় আড়ালের মাখামাখি নিয়ে
আরও
অনেকটুকু কুঁকড়ে যাই।
তাবৎ মরশুম শীতের নয়, হিমেরও
নয়, তবু কেন
সব সংস্কারের আড়ালে চাদর মুড়ি দিয়ে
এতোটা গুটিয়ে থাকো? যেন
খই উড়ছে, এগিয়ে
আসছে কথা না বলা ভবিষ্যৎ -
একাকীত্বের
সমস্ত দিন, আমরাও কি তৈরি হচ্ছি খুব!
অবন্তিকা,
গা ভর্তি হামি হামি গন্ধমাখা শিশুর
লাল নীল প্লাস্টিক বল তোমাকেই
দেবো, নেবে? কিশোরের
কাঠি ডাঁটি
নারকেল পাতার চশমা, বোম্বেটে
লাটিমের ঘূর্ণি, জোনাকির
পিছে ছুটে
যাওয়া আহ্লাদও দেবো, এক বয়সে
ঘাসের দানায় লেখা টপ্পা যতো, আকাশজুড়ে
তারার কোলাজ, আঁচলে দেব
বৈশাখ
কুচি, বর্ষাবাদল, টুপুর
ফোটা, আঁশটে শরীর, ঘামে ভেজা
এক্সপ্রেস বুক, স্নানঘরের
ধোঁয়া ওঠা
এক পশলা গান যদি দেই?
হীরে মানিক হয়তো নয়, তবু
এখনো আমি বহু কিছু দিতে পারি -
এর চাইতে বেশী আজও পারেনি মানুষ।
নেবে?
No comments:
Post a Comment