কুহক সন্ধ্যা
এবার ব্রেকিং নিউজে আসুক কুহক সন্ধ্যা।সেলাই মেশিনের সূঁচ ফোটা অভিমানে অবিরত যে মানববন্ধন চলে,অক্ষত দাঁড়িপাল্লায় যখন ভেসে উঠে সব
সুতোর ধোঁয়াশা;সমুদ্রের এতশত গর্জনে তবুও বলপেনের শরীরে নেমে আসে কুহক সন্ধ্যা...
যে রঙে আমার উঠোনে হয়ে উঠি চন্দ্রিমা।গলগল অবাধ্য
জ্যোৎস্না ঢুকে যায় ঘরে।প্রচন্ড সুখের অসুখে, প্রতিবেশীর মতন আমিও খুলে দিই
কাঁথার উপরে তোলা ভরদুপুরের নকশী ফুল।তবুও সময়ের কার্পেটে ঢেলে দেয়া আলতা রঙে নেমে
আসে কুহক সন্ধ্যা...
মধ্যবিত্ত দরজা কেটে বানিয়ে ফেলি রাজপথ,নিষেধাজ্ঞার
পাঁচালী পড়ে থাকে ভুলতত্ত্বের সামাজিক ড্রয়ারে।বেঘোর আধারে ধানসিঁড়ির স্নিগ্ধ
ঘ্রাণে পৃথিবীর সব অণু-পরমাণু যেন একজোট হয়ে মুগ্ধতার বুকে নামিয়ে আনে কুহক
সন্ধ্যা...
ব্রেকিং নিউজে এবার আসুক তবে কুহক সন্ধ্যা...!
মৃত্তিকা
শেলফের গভীর গুছানো ভেঙ্গে বের করে আনি পদ্মগোখরো।এক এক
ফণায় যে তীব্র বিষ ছিটকে দেয় তা নিয়েই কেবল ভাবনার অন্ত নেই!
আমি মা-নু-ষ!
আমার শরীরের উপর খেলে যায় যাবতীয় রং।এক এক রঙে খেলে উঠে
আমার তাবৎ বহিঃপ্রকাশ।
আমি নীলাভ আকাশ দেখি,
আমার চোখমুখে নাচে বৃষ্টি।
সারাদিনের রক্তবর্ণ ঝরে গেলে পুড়ে যাওয়া ছাইয়ে চুমু খেয়ে বলি,
তোমাকে ভালবাসি গভীরের গভীর হতে।
অথচ সংসারের মলাট খেতে খেতে অন্যদিকে খুড়ে খাচ্ছে সময়!
মুছে যাচ্ছে পদচ্ছাপ।
এখনো যে অনেক বাকি,
তোমার স্বর্ণধুলো আমার ললাটে,
আমি যে মা-নু-ষ...!
No comments:
Post a Comment