রমণীর আত্মহুতি
অতঃপর ভেসে যায় মেঘের ঘুড়ি,
লাটাই সুতো পড়ে থাকে অগোছালো।
রিক্ত হাতের রমণীটি দীর্ঘশ্বাস
ফেলে
ছুটে যায় শূন্য পথে। একাকিত্বই
একমাত্র সঙ্গী তার।
দুর থেকে সবুজেরা ডাকে, সাজেকের
টিলার মাথা উবু হয়ে থাকে।
কচি শেওলার তলে কালোজল-
রিক্ত হস্ত ধুয়ে দিতে চায়।
লাটাই সুতো ছেড়ে আসা ছেলেটি
মেঘের রাজ্যে বিলীন।
বাঁচতে চেয়েছিল রমণীটি-
ঝর্ণার জলে
সবুজের আবেশে
শেওলার তলে
নিঃশব্দের বাতাসে।
একে একে সব ছেড়ে যায়,
খালি হতে হতে শূন্যের কোটায় পৌঁছায়।
একাকিত্বই একমাত্র সঙ্গী তার।
সবুজ শুধুই মুগ্ধ করে
একসাথে কাঁদে, হাসে।
শূন্য রমণীরে গ্রহণ করে না-
ভালবাসে যদিও।
শেওলায় সবুজ মেখে থাকে
তবু ডাকে-
রিক্ত রমণীটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে
ছুটে যায় শূন্যপথে।
কালোজলে শেষবার
দু-গালের টোল পড়া দেখে,
দু-কপোলের কান্নার দাগ।
শেওলার জলে তলিয়ে যায় রমণীর দেহ
!
উপরে আবার এক হয়ে যায়
শেওলার সবুজ।
আমি ক্লান্ত
আমি নির্বাসনে যেতে প্রস্তুত-
পাহাড়ের গায়ে, সবুজের মাঝখানে
শুয়ে;
চাতক চোখে নীলাকাশ দেখতে,
আমার একটুও কষ্ট হবে না।
ব্যথাদের ভার বইতে বইতে আমি সত্যিই
অনেক ক্লান্ত;
খুব ক্লান্ত
পরিশ্রান্ত।
আমি গৃহত্যাগী হতে প্রস্তুত-
চাঁদের ঝাপসা আলোয়, ছিমছাম পিচ
ঢালা পথে;
হেটে হেটে হারিয়ে যেতে আমার কোন
ভয় নেই।
আমি নির্ভীক,
আমি পরিশ্রান্ত
আমি ক্লান্ত....
No comments:
Post a Comment