ঊনিশ বৈশাখ
সম্পর্কের এত রূপ,
ঝলসে যাওয়া চোখ—কিছুই মিথ্যা নয়। সড়ক দ্বীপে জ্বলা বিলবোর্ড, তোমার মুখ, বহু পুরোনো গ্রাম্য
পথে নেমে পড়া শীত—তার সাইবার নেশা।
দেবদারু গাছ, অ্যাম্বুলেন্সের
সারি—কেউ যেন খুব কার্তিকের বিকাল। কেউ বুঝি চেয়ে থাকে সারারাত—
আমাদের সব ঘুম,
হারমোনির রিড—যেন হারিকেন জ্বালা রাত, যেন রিকশার হুড।
সত্য যেন সব শিশুহত্যা—রিং বদল—দিন। হাসিও মিথ্যা
নয়—কৌলিন্যের ঘানি।
শীতরাতে শীৎকার
ধ্বনি—হিস্ হিস্—তুসের উত্তাপ। খুব ভোরে জেগে যাওয়া টনটন কিডনির
চাপ, দেখ।
দেখছি সবাই কোল্ডওয়ার
পার হয়ে পৃথিবী শেষ বরফ স্মাগলিং।
চাপা কান্নায় শোনা
যত সাপের গল্প—সবই সত্য। সব সত্য নালিশ
মিথ্যা শুধু মধ্যবৈশাখের
ভূমি-স্পর্শ।
পদছাপ
আজ আমি কিছু লিখিনি। শুধু বারবার
দোখানো কুমির ছানা ও তার নিঃসঙ্গ বেড়ে ওঠার গল্প পড়েছি—কেন শেয়াল পণ্ডিত প্রত্যহ ভোরে ঘাসের
ডগার শিশির গুনতেন?—তার প্রহর গোনার হাঁক শুনে গেছি
রাতবিরেতে।
ওগো ম্যাগডালিন, তোমার পায়ের ছাপ
ছুঁয়ে বসে আছি- কাছে আস এবং চুম্বন দাও। তোমার গোপন প্রেমিক আমার পিতা, বহুদিন ছিলাম
অরণ্যে-ব্রিজের ধারে। সেইখানে তরুণ যিশু তোমার চুলের ঘ্রানে পেয়েছিলেন পরমেশ্বরের ডাক।
সেই অন্তর্ধানের গল্প বলেছ...
আর আমি তোমার ম্লেচ্ছ পদছাপ ধরে
ধীরে ধীরে পৌঁছে যাচ্ছি হুগলীর তীরে, পরমহংসের কাছে।
__________________________________________________________________________________
No comments:
Post a Comment