13 May 2017

মাহবুবা ফারুক





অধিকার
শিমুল বীজ যখন উড়ে যায়
জন্মের গল্প- পেছনে পড়ে থাকে অতীত
তাকে আর তখন ডেকে কী হবে ?
তুলো করে সে উড়ায় নিজের কান্না হাসি  
বাতাসে ভেসে খুঁজে সে গন্তব্য
গাছের জন্যে হয়তো বা থাকে মায়া
থাকে না ফেরার উপায় কখনো আর
জীবন যখন বিস্তৃত তার নিজের রূপে  
শূন্য ডালে বাস করে দুঃখ-হাহাকার
কিছু অধিকার কাঁদায় - শুধু কষ্ট দেয়।


             আমি তোমার বাঁশির সুরে নৃত্য করা সাপ      
এমন নয় যে সাপেরা ইচ্ছে করে  
ওঝার ঝাঁপিতে ঢোকে
বরং তাদের সেখানে থাকতে হয়
বিষদাঁত হারানোর পর
আর তখন থেকে মহড়া চলে
বীণের সাথে নাচ শেখার

সাপুড়ের বীণের ভেতর জমা থাকে
সাপের বনজ নৃত্যগুলো
এভাবে সাপ শৈল্পিক হয়ে ওঠে
আর খোঁজে না সে বিষদাঁত

সাপেরা এভাবে ওঝার শিল্পী হয়ে যায় ।




যাকে পেতে চাওনি
নক্ষত্র নই বলে কি আমি ছোট্ট
একটা বিন্দুও নই ? যাকে দেখা যায় ?
বিন্দুও কি একটা চিহ্ন নয় স্বচ্ছ খাতায় ? 
তারও আছে অবস্থান পরিধির ভেতর
আছে উপেক্ষার বোঝা
মুছে ফেলতে হলেও দিতে হয় একটু সময় 
এত সহজে বলা যায় না শেষ কথা    
অবস্থান থাকলে মান অভিমানও থাকে
যে  দূর নক্ষত্রে দৃষ্টি রাখো 
সেখানে তুমি এক অস্পষ্ট চাওয়া
সুখের অংক মিলাতে বিভ্রান্ত হও আমিও
বুঝে নিই -
আমাকে মুছে ফেলার আয়োজন ছিল
পাবার ছিলনা আকাঙ্ক্ষা।

চিহ্ন   
ঢেউ জেগে ওঠে বুক ভরা ক্ষোভ নিয়ে
হয়তো আবেগে সাহসে শক্তিতে
কখনো অন্য ঢেউয়ের ডাকে
মাথা তুলতে হয় জাগতে হয়
তারপর বলা শেষ না হলেও
নতুন ঢেউ এসে তাকে সরিয়ে দেয়  
ক্ষমতা দখলের মহড়া চলে
মঞ্চে উঠে পুরোনো অভিনয় শেষে
ঢেউয়ের বুকেই ঢেউ আছড়ে পড়ে
ভেঙে ভেঙে মিশে যায় জলে
ভাঙা ঢেউয়ের কোনো চিহ্ন থাকেনা ।
________________________________________________________

No comments:

Post a Comment