21 May 2017

নাজমুন নাহার





ওইজা বোর্ড
ওইজা বোর্ড থেকে নেমে আসেন রাণী ক্লিওপেট্রা-চোখে কসমিক দৃশ্য-
যে ভান্তের দল বুকের বাঁদিকে ব্যথা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো সহস্রকাল অবধি-
আজ তাদের গায়ে রক্তের ঘ্রাণ-ঠোঁটে তৃষ্ণা-

গোর হেঁটে আসে নীলাম্বরীর বুকের মধ্যরেখায়-
লেগে গেছে টান শিনার গায়ে-

মধ্যরাতে নিশিন্দার ঘুম
ব্যালে ড্যান্সারের পায়ে পৃথিবী থেমে গেছে।




ওডিকোলন
শুরু হয়ে গেছে
নদী ভাঙ্গন
চর দখল
এবং জমি চৌচির
সাথে ঘুম ভাঙ্গার ইতিহাস
বাদ নেই 
আজকাল জলের নড়াচড়া দেখলেই
বুক ধড়ফড়
দু"পাশ শিথিল
হাহাকার
সব গেলো বলে 
অথচ সে নাকি তখনো
ঘুমোয়
জামা ধোয়
স্যান্ডেল পরিপাটি করে
ওডিকোলন মাখে
দুয়ারটা ভেজানো কিনা
             বার বার খেয়াল করে
শব্দটা গভীর হতে হতে বরফ থেকে বাষ্প হয়
ওডিকোলনের গন্ধটা তীব্র হচ্ছে







সামন্ত প্রেমিক
তামাদি কালি ঝুলি মুছে যায় না একেবারে ,
বলেছিলি চল স্নান ঘরে-
নিষেধ করিনি , আনচানে সময়  
বাহির থেকে কেউটে ডাক-
বলতো এত বড় বাড়ি গুলো কেন আকাশের চুড়ো ভেদ করেছে ,
সন্ধ্যা হলেই চাঁদ হাঁটতে থাকে ,
লোকালয়ের এক কোটি মানুষকে আমার পোকা মনে হয়-
তুই একটা আলেয়া বাতাস-
চলছি মহাসমরের তিনতলা ঘরের সব চাইতে কোনার ঘুলঘুলিতে -
আমার মায়া পড়ে থাকে-
হ্যাঁচকা টান দিলে পড়ে যাই-
তুই সবটা প্রেমিক আবার কিছুটা সামন্ত-
আমার হাত ধরে বলিস ব্যথা কইরে বাসন্তী ?
তোর বুকে বেশী!
এতো বেশী মায়া কেন তোর চোখ?
অবেলার আকাশ ভীষন মেঘলা-
বাসন্তী বাতাসে আমার ঘুম পায়!!

No comments:

Post a Comment