16 May 2017

প্রণব আচার্য্য





সখী সংবাদ
১.
শুনেছ সখী, করাল অভ্যুত্থানে
আবার এসেছি দুষ্টচক্রে ভেসে
পৃথিবীর যত অচেনা ভাষার টান
ওষ্ঠ অধরে তুলেছি আমরা শেষে

আমাদের হাসি সূর্যের চারপাশ
ঘুরে হয়েছে ব্যাকুল রাখাইন গান
২.
ভেবেছ সখী, আমার দিনের আলো
চাঁদের রাত্র তোমার লেগেছে ভালো
তীর ধনুকের ক্রোধে ক্ষিপ্রতায় জানি
চক্ষে আগুন জ্বেলেছ, যেমন জ্বালো

দিনের কুয়াশা রাতের ছায়ার হিমে
সান্তাল আজও টানে দেবতার ঘানি

৩.
দেখেছ সখী, ভাষার অযোধ্যায়
কৈকেয়ী আজও মন্থরা পানে চায়
ওষ্ঠে তোমার রক্ত করেছে খেলা
ক্রৌঞ্চবিরহ কণ্ঠে নেয়া যে দায়

ঘুম ঘুম ঘুম নৃত্য মেতেছে চোখে
নটরাজ দেয় হৃদয়ে আবার দোলা



স্বপ্নের রাতে
দুলছো তুমি। পরিমিত ছন্দে। জলের ঘোরে। দুলছি।।
মৃদু বাল্বের নিচে দুলছি আলোকোজ্জ্বল
লেডিস কামরায় আলোআঁধারিতে দুলছে শহরের সবকটি মাংশপেশী;
পানে ভুলে যাই সম্প্রদানের বিভক্তি সমূহ
ব্যাসবাক্যের সবিনয় অনুরোধউত্তরচিন্তার নেশায় দুলছে
তৃতীয় কাল।

আহ! ভীষণ দুলছো তুমি বাল্ব!
আহ! মোহন দুলছো তুমি বাল্ব!

শঙ্খরাত
তোমার ছায়াতলে রেখে এসেছি শঙ্খের রাত
শোঁ শোঁ শব্দ শোন...

রাত্রির কঙ্কাল
আর দীর্ঘায়ু জীবনের ঘুম
তুমি শোন; শোন এ সাগরধ্বনি...

অথবা কারো না ফেরার সুর
কোন শীতার্তের গল্পে


কিছু নেই

মাটিতে নেই কিছু, মাটিও নেই
সব উল্টে গেছে
হাত পা নখের আঁচড়
জ্যামিতি ও ত্রিকোনমিতি

সব উল্টে গেছে। আব্রু ও ভ্রু
সনাতন গোস্বামী ও তার নামসংকীর্তণ
প্রহরে প্রহর, অভিধান এবং নির্মাণ

রাজ ও শিল্প নীতি, ঔষধের সুলভ সমাহার
পাখির ঠোঁট, চোখের জিজ্ঞাসা
অসন্তোষের হাট
সর্বনাম ও অব্যয়, মূল্যস্ফীতি
কিছু নেই। কোথাও একটি প্রজাপতি নেই


No comments:

Post a Comment