ভাবনায়
রবীন্দ্রনাথ
সারা রাত
ধরে ঝিমানোর পরে
উড়ে গেল ভোরের পাখিটা
উন্মুক্ত
ডানা মেলে আলো ঝলমলে
স্বপ্নীল আকাশের বুকে।
আমার
কপালে জমছে বিন্দু বিন্দু ঘাম
খুঁজে চলেছি,তোমার
নাম
তুমি কে? পরিচয় কি?
এটা পাওয়া এতটাই সোজা নাকি?
তুমি আছো
ছেলে বেলা জুড়ে
কৈশোরে শ্বেত টগরে মুড়ে
বয়ঃ
সন্ধির উন্মত্ত প্রেমে
দেহের শিহরণে,প্রেমে
গলা মনে ।।
উছলিয়া
ওঠে ক্ষণে ক্ষণে
এত অনুভূতি ছিল মনে?
আনন্দে
আত্মহারা
বেদনায় অশ্রুধারা ।।
পূজাতে
ভক্তির থালা
প্রেমেতে পাগলা হাওয়া
প্রকৃতি
থমকে যাওয়া
কখনো লেখনি অস্ত্রশালা ।।
কি এমন
আছে তোমার
করেছো আপ্লুত মন সবাকার
জানতে বড়
ইচ্ছে করে
কোন আশীষের ঝরনাধারা
সবার মনে
দিয়েছে নাড়া?
ছুঁয়েছো
সবার মনোভূমি
রাতের চন্দ্রশোভা তুমি
তারার
আলোর অঞ্জলি
সূর্যের সাথে রেখেছো মিতালি ।।
তুমি কে? তুমি কে
গো?
দাড়িওলা মনচোর বুড়ো
তোমার
চাওয়া তোমার পাওয়া
সবটাই তো এক হয়ে যাওয়া ।।
সবটাই
গান সবটাই কবিতা
গদ্যটাকে রেখেছো বাহুপাশে
যেন চির
নবীন তরুলতা ।।
তুমি নাই
ভাবতে পারিনা
গান হয়ে আছো কবিতার মাঝে
গল্প
তোমার প্রদীপ সাঁঝের
তুমি অনন্ত লোকের কৃষ্টি
তুমি
নারীর চেতনা দৃষ্টি
ধন্য ধন্য বলি তোমার সৃষ্টি ।।
তুমি
আসবে আবার ফিরে
আসতে তোমাকে হবেই
দাড়ি
বুড়ো, থুড়ি, রবিঠাকুর
বৈশাখের তেজ, শ্রাবণের
ধারা
শীতের
চাদর কাঁপন ধরা
ভাবতে পারিনা কিছু তুমি ছাড়া।।
তুমি এসো,ধন্য হোক
এ ধরা ।।
“এসো এসো
আমার ঘরে এসো আমার ঘরে
বাহির হয়ে এসো তুমি যে আছো অন্তরে”।।
No comments:
Post a Comment