শেষ
বিকেলের গান
আজও শেষ বিকেলের রঙ মুঠো ফস্কে গেলে ঈর্ষান্বিত
নিভের ডগায় দেখি অঞ্জনের গীতিকবিতা।
মিটিমিটি হাসে তারা, যেন বর্ণ ভাষ্য থেকে বেরিয়ে এসে বলবে আত্ম অহংকারের কথা
আর আমিও হঠাৎ পাখির মতন অবয়বে মেঘলাসুদূরে নিয়ে যাবো বলে সমস্ত সুর তার
মোহনচূড়া থেকে পাঠিয়ে দিই শাদা পাতার চিঠি, বিগত রাত্রিতে যারা গেয়েছে অনবদ্য গঙ্গা -
তাদের মুখ আঙুলে বন্ধ রাখি, যেন মুখ ফসকে বেরিয়ে না আসে সেই নিবেদন অলঙ্কার -
কেন না, আমি জানি তাদের রয়েছে জাতিস্মরের পূর্বাপর পেরোনোর অসংখ্য কীর্তিগাথা
সে সবে আকুলতা সন্ধিবদ্ধ রেখে বলি, পরাজিত কেবল আমিই নই, দুর সর্গ ব্যতিত কোন জয়
কাব্যের প্রতিবাসে চেয়েছিলো তোমাকে, জ্যোৎস্নাগ্রস্থ কোন রাত্তিরে অমরত্বের ধ্যানে -
বলেছিল একটা বিকেল যেন তার হয়, একটা গোধুলির গায়ে যেন সে লিখে তোমার মুখাবয়ব
আমি তো তারই উত্তরসূরি, অভিন্ন সুর করি, আর ফিরে ফিরে বলি, আসছে বিকেলে যেন পাই।
মিটিমিটি হাসে তারা, যেন বর্ণ ভাষ্য থেকে বেরিয়ে এসে বলবে আত্ম অহংকারের কথা
আর আমিও হঠাৎ পাখির মতন অবয়বে মেঘলাসুদূরে নিয়ে যাবো বলে সমস্ত সুর তার
মোহনচূড়া থেকে পাঠিয়ে দিই শাদা পাতার চিঠি, বিগত রাত্রিতে যারা গেয়েছে অনবদ্য গঙ্গা -
তাদের মুখ আঙুলে বন্ধ রাখি, যেন মুখ ফসকে বেরিয়ে না আসে সেই নিবেদন অলঙ্কার -
কেন না, আমি জানি তাদের রয়েছে জাতিস্মরের পূর্বাপর পেরোনোর অসংখ্য কীর্তিগাথা
সে সবে আকুলতা সন্ধিবদ্ধ রেখে বলি, পরাজিত কেবল আমিই নই, দুর সর্গ ব্যতিত কোন জয়
কাব্যের প্রতিবাসে চেয়েছিলো তোমাকে, জ্যোৎস্নাগ্রস্থ কোন রাত্তিরে অমরত্বের ধ্যানে -
বলেছিল একটা বিকেল যেন তার হয়, একটা গোধুলির গায়ে যেন সে লিখে তোমার মুখাবয়ব
আমি তো তারই উত্তরসূরি, অভিন্ন সুর করি, আর ফিরে ফিরে বলি, আসছে বিকেলে যেন পাই।
০৮.০৪.১৬
সহজ সন্ন্যাস
আকাশ
অদৃশ্যঃত ধরে রাখে দীঘল নদী রূপ
পাড় ধরে তার খেলা করা রোদেলা বিকেল
তার ভেতর মোহগ্রস্থতা, অনেক মৃদু ব্যঞ্জন
অনিঃশেষ বিম্বে প্রতিফলিত এক রহস্যমুখ,
কেন পৃথিবীতে ফুটেছে এতো নিশ্চুপ ঘাস
চতুর্দিকে যাদের চন্দ্রপ্রভা চন্দ্রমল্লিকার সুখ
মাদল বাজিয়ে আমিও যাব সুপ্রাচীন গৌরব
সবুজ মৃত্তিকায় ঘর বসতি করা প্রাকৃত জনে
সেখানে লন্ঠন সেজে ভাসা জোনাক স্বজন
মহাদূরের দেশ থেকে আনে গল্পের রাত ;
মুখোমুখি অবলীলায়, আজোও সেখানে -
আন্দোলিত প্রেমের পাঠ শেখায় অসংসার
প্রেমিকারা থাকে পাহাড়চূড়ায়, চিরন্তনে।
পাড় ধরে তার খেলা করা রোদেলা বিকেল
তার ভেতর মোহগ্রস্থতা, অনেক মৃদু ব্যঞ্জন
অনিঃশেষ বিম্বে প্রতিফলিত এক রহস্যমুখ,
কেন পৃথিবীতে ফুটেছে এতো নিশ্চুপ ঘাস
চতুর্দিকে যাদের চন্দ্রপ্রভা চন্দ্রমল্লিকার সুখ
মাদল বাজিয়ে আমিও যাব সুপ্রাচীন গৌরব
সবুজ মৃত্তিকায় ঘর বসতি করা প্রাকৃত জনে
সেখানে লন্ঠন সেজে ভাসা জোনাক স্বজন
মহাদূরের দেশ থেকে আনে গল্পের রাত ;
মুখোমুখি অবলীলায়, আজোও সেখানে -
আন্দোলিত প্রেমের পাঠ শেখায় অসংসার
প্রেমিকারা থাকে পাহাড়চূড়ায়, চিরন্তনে।
০৪.০৪.১৬
রহস্যনাম
বারংবার তুমি যে নাম জপ করো সে নামে আদতে
কেউ ছিলো কি না !
জিজ্ঞাসার পর জল থেকে উঠে আসে নিঃসর্গের
হাওয়া।
তুমি এই নামে এত প্রাণবন্ত এই রহস্য ধরে
প্যাঁচার দুচোখ খুঁজে ফিরে কোন অনন্ত শিকড়।
প্যাঁচার দুচোখ খুঁজে ফিরে কোন অনন্ত শিকড়।
এই প্রাণবন্ততা্রও আছে আদি, নতজানু বিকেল ভাষা
আঙুল রহস্যের কাছে দ্যোতিমান কোন অবুঝ শিশু যাবে
প্রথম শব্দ পাঠে, নিসর্গের শর্তানুসারে দৃশ্যমান ঈশ্বর।
আঙুল রহস্যের কাছে দ্যোতিমান কোন অবুঝ শিশু যাবে
প্রথম শব্দ পাঠে, নিসর্গের শর্তানুসারে দৃশ্যমান ঈশ্বর।
আজ অন্ধ দিন আর বিকারগ্রস্থ আলোক। অসহায়
পথের অজস্র মিছিল
কার কাছে যাবে, কে আছে সম্মুখে, অস্থিরতা আরোগ্যের আঁচল তুলে!
কার কাছে যাবে, কে আছে সম্মুখে, অস্থিরতা আরোগ্যের আঁচল তুলে!
পূন্যতোয়া আছে এক নদী। অসম্ভব অগ্নিঝড়েও
অবিরত পাঠায় যে শীতল।
০৬.০৪.১৬
No comments:
Post a Comment